মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আনন্দ-বিনোদন | প্রিয়দেশ | বিবিধ » সালমানের সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল- শাবনূর
সালমানের সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল- শাবনূর
বিবিসি২৪নিউজ,ডেস্ক: এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) সুইসাইড করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের দীর্ঘ তদন্তে হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। পিবিআই তাদের প্রতিবেদনে চিত্রনায়িকা শাবনূরসহ সুইসাইডের পাঁচ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পিবিআইর এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন সালমানের মা মোসাম্মৎ নিলুফার জামান চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী। এদিকে শাবনূর বলেছেন, সালমানের সঙ্গে তার ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল।পিবিআই তদন্ত তুলে ধরার পরপরই অস্ট্রেলিয়ায় থাকা শাবনূর সাংবাদিকদের বলেন, একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এত বছর পর এত বিশ্রী কথা বলার মনমানসিকতা কীভাবে সবার হয়, তা আমি বুঝি না। সালমান শুধুই আমার নায়ক ছিল, সহশিল্পী ছিল, বন্ধু ছিল, এর বাইরে আর কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমি আগেও বলেছি, তাকে আমি ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করতাম। তার সঙ্গে আমার ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল। অন্য রকম পরিচ্ছন্ন সম্পর্ক ছিল। এটা নিয়ে এখন কেউ কিছু বললে তা তো আমি মানবই না।
শাবনূর বলেন, আমি তখন অবিবাহিত একটা মেয়ে। সালমান তো বিবাহিত ছিল। ওর স্ত্রীর সঙ্গেও আমার একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। সালমানের স্ত্রী সব সময় আমাদের সঙ্গেই থাকত। প্রেমের সম্পর্কের কিছু একটা যদি থাকতো, এটা তখন সবাই বুঝতে পারত। এত বছর পর এ ব্যাপারটা নিয়ে আমাকে জড়িয়ে নোংরা উক্তি করা মোটেও ভালো লাগছে না। কিছু মানুষ আমাকে জড়িয়ে গুজব ছড়িয়েছে। এখনো ছড়াচ্ছে। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কীসের জন্য আমার নাম জড়ানো হচ্ছে!
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ আর স্ত্রী সামিরার কারণে মা নীলা চৌধুরীকে ছেড়ে দূরে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে আমাদের মনে হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা ধরে ওই সময় রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হলে তাতে আপত্তি জানায় তার পরিবার। ১৯৯৭ সালে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ এবং ২০১৪ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। সালমানের মা নীলা চৌধুরী সেসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলে তদন্তভার আসে পিবিআইর হাতে। তৃতীয় দফার দীর্ঘ তদন্তেও সালমানকে হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। সালমান একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন, যা পিবিআইর তদন্তে উঠে এসেছে।