বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রার্থীরা শূন্য হাতে বাড়ি ফিরল
দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রার্থীরা শূন্য হাতে বাড়ি ফিরল
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে রাজধানী দিল্লির রাজনীতিতে কর্পূরের মতো উবে গেল।এই নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে ৬৬টিতে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে কংগ্রেসের ৬৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। খবর এই সময়ের।
অরবিন্দ কেজিওয়ালের আম আদমি পার্টির উত্থানে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সুভাষ চোপড়া।
ভোটের ফল প্রকাশের পর পরই দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন।
পরে সুভাষ চোপড়া সাংবাদিকদের বলেন, দিল্লির প্রধান হিসেবে কংগ্রেসের এই শোচনীয় পরাজয়ের নৈতিক দায় আমি অস্বীকার করতে পারি না। সে কারণেই আমি ইস্তফা দিয়েছি।
সুভাষ চোপড়ার মেয়ে শিবানি চোপড়া এবার কালকাজি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। তারও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
দিল্লি বিধানসভার সাবেক স্পিকার যোগানন্দ শাস্ত্রীর মেয়ে, দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের বর্তমান সহসভানেত্রী প্রিয়াংকা সিংও জামানত রক্ষা করতে পারেননি। মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রিয়াংকা।
শীলা দীক্ষিতের মুখ্যমন্ত্রিত্বে এই কংগ্রেস ১৫ বছর দিল্লি শাসন করেছে। সেই দলটির জনসমর্থন এবার ভোটে ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কংগ্রেসকে শূন্যহাতে ফেরাল দিল্লি। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে জোট বেঁধে এবার দিল্লির ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস।
জোট শরিক আরজেডিকে ৪টি আসন ছেড়ে দিয়ে, ৬৬ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্বাচনে ৬৩ আসনেই জামানত হারায় তারা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মরিয়া প্রচার সত্ত্বেও ৮টির বেশি আসন পায়নি বিজেপি। তবে গতবারের চেয়ে তাদের আসন সংখ্যা ৫টি বেড়েছে।
২০১৩ সালে প্রথমবার আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। পরে ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টিতেই জিতে নিয়েছিল কেজরিওয়ালের দল।