মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » সবাইকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ার করা হচ্ছে- খাদ্যমন্ত্রী
সবাইকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ার করা হচ্ছে- খাদ্যমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:খাদ্য বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার সভা করেছে। সবাইকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ার করা হচ্ছে। আগের দিন আর নেই, নতুন উদ্যমে নতুনভাবে চলতে হবে, যদি কেউ এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে ফুডে চাকরি করা যাবে না।মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পটুয়াখালীতে আমন সংগ্রহ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার এ সব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের ট্রিপল থ্রি রয়েছে, মোবাইলের মেসেজ রয়েছে আমরা প্রতিদিন এগুলো চেক করছি। আমরা শতভাগ সত্যতা নিয়ে চলছি এখানে কোনো রকমের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা দরে চাল কেনা হয়। এটি সংরক্ষণ করতে আরও ১০ টাকা খরচ হয়। আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এই চাল ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে এটি একরকম ভর্তুকি স্বরূপ।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে ধান কেনার ফলে যে বাজার বৃদ্ধি পাবে এমন কোনো কথা নেই, তবে সরকার যদি মার্কেটে থাকে তবে মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজার ডাউন করতে পারবে না। এ ছাড়া কৃষকদের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর ধান কেনার সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের দোষ হয়। এ বছর ধান কেনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা যাতে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। যদি এমনটি কেউ করে থাকেন তবে তারা দালাল চক্র, তারা আওয়ামী লীগের নয়, তারা হাইব্রিড। তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
এতে মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণি বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি কৃষক তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম। এ ছাড়াও সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং জেলা-উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ।