বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু » করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ৬৭ কোটি ডলার প্রয়োজন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ৬৭ কোটি ডলার প্রয়োজন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:চীন থেকে উদ্ভুত নভেল করোনাভাইরাসের (২০১৯-এনসিওভি) বিশ্বজুড়ে বিস্তার ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ (৬৭৫ মিলিয়ন) ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।প্রাণঘাতী এই ভাইরাস যাতে আর ছড়াতে না পারে এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে, এমন দেশগুলোকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত করতে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এই অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।
জরুরি এই তহবিল প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস বলেন, “সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হল- এমন অনেক দেশ আছে যাদের এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের শনাক্ত করা, এমনকি কোথা থেকে এর উদ্ভব হতে পারে, তা শনাক্ত করার মতো পদ্ধতি নেই।
“আক্রান্তদের শনাক্ত করা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাদের সেবা নিশ্চিতে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো ঠেকাতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।”
দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার এসব দেশ যাতে করোনাভাইরাস ঠেকানোর মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে সেজন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে স্ট্র্যাটেজিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান- এসপিআরপি’র আওতায়। আর এটি করতে গেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাগুলোর বৈশ্বিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।
ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোতে মানুষ থেকে মানুষে এই ভাইরাসের বিস্তার কমিয়ে আনা; প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্তদের শনাক্ত, অন্যদের থেকে আলাদা করা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা; গুরুতর ঝুঁকি এবং তথ্য সংগ্রহ, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব কমিয়ে আনা, প্রাণীদের মধ্যে থেকে ভাইরাসটির বিস্তার কমানো এবং অজানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে এই অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এসব কাজ করতে মূলত তিনটি ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে। এগুলো হল- দ্রুত আন্তর্জাতিক সমন্বয় এবং কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা প্রতিষ্ঠা করা, দেশভিত্তিক প্রস্তুতি ও কার্যক্রম পরিচালনা এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন তরান্বিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমারজেন্সিস প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, “(ভাইরাসের) প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আগে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে কার্যকর সাড়ার বিষয়টি। তাই করোনাভাইরাস আমাদের দোরগোড়ায় আসার আগেই ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার মতো সহায়তা দিতে চাই আমরা।”
এ মুহূর্তে শুধু চীনই নয়, পুরো বিশ্বই করোনাভাইরাসের হুমকিতে রয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসপিআরপিতে বলা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনসহ ২৫টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর মিলিছে। এর মধ্যে আক্রান্তদের ৯৯ ভাগই চীনে। আর অন্যান্য দেশে এ পর্যন্ত ১৯১ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
রয়টার্সের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার আরও ৭৩ জনসহ শুধু চীনেই এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬৩ জনে পৌঁছেছে; আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার।