বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » অবৈধ বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করছে- টিআইবি
অবৈধ বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করছে- টিআইবি
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:অবৈধ বিদেশি কর্মীরা প্রতি বছর প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অবৈধভাবে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ফলে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।আজ রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশে বিদেশিদের কর্মসংস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণা ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছেন মনজুর-ই খোদা। আর গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বৈধ ও অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি কর্মী কাজ করেন। যার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী বৈধ কর্মী রয়েছেন ৯০ হাজার। এদের ন্যূনতম গড় মাসিক বেতন দেড় হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসাবে বিদেশি কর্মীদের বার্ষিক আয় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থ পাচার হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ৩০ শতাংশ স্থানীয় ব্যয় বাদে প্রায় ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে চলে যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বৈধভাবে বিদেশে যায় মাত্র ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়ে যায়। টাকার অংকে যা প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যার মাধ্যমে সরকারের বার্ষিক রাজস্ব ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে টিআইবির পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে যারা কাজ করতে আসেন তাদের ৫০ শতাংশই ভ্রমণ ভিসায় আসেন। এখানে কাজ যোগাড় করে আবার দেশে ফিরে যান। পরে আবার ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আসেন। বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি।
প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করছেন। এমনকি সরকারি প্রকল্পে যেসব বিদেশি কাজ করছেন তারাও ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন।