মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » জাপানের যে কোনো বিমানবন্দরে চলবে বাংলাদেশি ফ্লাইট
জাপানের যে কোনো বিমানবন্দরে চলবে বাংলাদেশি ফ্লাইট
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন থেকে জাপানের যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচলনা করতে পারবে রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বিমানসহ বাংলাদেশের সব এয়ারলাইন্স।একই সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে টোকিও ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও ঢাকা-ব্যাংকক সেক্টরে বিমানের যাত্রী ধারণক্ষমতার শতকরা ৩৫ ভাগের নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
এছাড়া বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের যে কোনো এয়ারলাইন্স জাপানের যে কোনো বিমানবন্দরে (হানেদা ব্যতীত) যাত্রী ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পাবে। এখন বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে চীন (মেইন ল্যান্ড চায়না) ব্যতীত বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের বিমানবন্দরের যাত্রী নিয়ে জাপানের টোকিওতে (নারিতা বিমানবন্দর) যেতে পারবে। একইভাবে টোকিও থেকে যাত্রী বাংলাদেশে আনতেও পারবে। আগে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলোর ঢাকা-টোকিওর মধ্যে সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পেত।
এছাড়া ব্যাংকক হয়ে টোকিওতে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ঢাকা-ব্যাংকক সেক্টরে বিমানের যাত্রী ধারণক্ষমতার শতকরা ৩৫ ভাগের বেশি যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে একটি নিষেধাজ্ঞাও ছিল। এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশি বিমান সংস্থা বিশেষ করে বিমানের ঢাকা-ব্যাংকক-টোকিও রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আর থাকছে না। এ ছাড়া আগে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার কোনো সুযোগ না থাকলেও এখন বিমান সংস্থাগুলো দুই দেশের মধ্যে কার্গো ফ্লাইটও পরিচালনা করতে পারবে।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের অ্যারোনটিক্যাল অথরিটির মধ্যে অনুষ্ঠিত সভাটি বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে যাত্রী, কার্গো পরিবহনকেই আরও সহজতর করবে। এ ছাড়া পর্যটনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। একই সঙ্গে সভাটি আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের সময় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।