শিরোনাম:
●   বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের ●   ঢাকার যানজটের সমাধান চান: প্রধান উপদেষ্টা ●   ত্রাণ তহবিলে টাকা ব্যাংকে কেন? ●   সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ●   ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্তদল ●   ময়মনসিংহের সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক ●   দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ●   দেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য : ড. ইফতেখারুজ্জামান ●   ঢাকা ও ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকবে: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদল ●   সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি কেন ?
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি কেন ?
৭৬১ বার পঠিত
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি কেন ?

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ীই ছিল ৩০ শতাংশের কম। যদিও বিরোধী দলের হিসাবে ভোট দিয়েছেন আরো কম ভোটার।নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বলছে, ঢাকা সিটি নির্বাচনে এতো কম ভোটারের উপস্থিতি আর কখনো দেখা যায়নি।এনিয়ে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে।

কী বলছেন ভোটাররা?

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ভোট পড়েছে ২৫.৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৩০ শতাংশের মতো।কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তরুণ ভোটারদের বড় একটি অংশ এবার ভোট দিতে যায়নি।

শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী এমন নানা পেশার কয়েকজন যারা ভোট দেননি, তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল, কী কারণে ভোট দেননি তারা?

তাদের একটি বড় অংশ বলেছেন, ভোট দেয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ অনেক কম ছিল।

একজন শিক্ষার্থী বলছিলেন, “ভোট দিতে যেতে অত আগ্রহ পাইনি, কারণ আমরা জানি, আমি ভোট দিলেও যে নির্বাচিত হবে, না দিলেও সে-ই নির্বাচিত হবে।কিভাবে জানেন জানতে চাইলে তার উত্তর ছিল: “আমরা চারপাশে তেমন-ই শুনে আসছি সব সময়।”আরেকজন বলছিলেন, “আমার নির্বাচনের প্রার্থী পছন্দ হয়নি, আর না-ভোটেরও ব্যবস্থা নাই, তাই আমি ভোট দেইনি।”

একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেছেন, “আমি কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, কিন্তু গিয়ে দেখি আমার সাথের জনের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। তখন ওর সাথে আমিও চলে আসি।আরেকজন ভোটার জানিয়েছেন, “আমার বাসা মোহাম্মদপুর, কিন্তু আমি ভোটার যাত্রাবাড়ীর। রাস্তায় তো গাড়ি চলে নাই, আমি যে যাব, তারপর ফিরে আসব কিভাবে - তাই যাই নাই।”
২৫ বছরেও এমন চিত্র দেখা যায়নি

বাংলাদেশের ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন হচ্ছে উৎসবের মতো।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোট দেবার ব্যাপারে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। বেশিরভাগ মানুষ এদেশে ভোট দিতে যান।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে স্বাধীনতার পর প্রথম দুই দশকে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে ছিল।

নব্বই পরবর্তী সময়ে সেই হার ৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে ৮৭ শতাংশ পর্যন্তও উঠেছিল।

কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন, যা বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বর্জন করেছিল, এবং সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন- এই দুইটি নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। আরেকজন বলছিলেন, “আমার নির্বাচনের প্রার্থী পছন্দ হয়নি, আর না-ভোটেরও ব্যবস্থা নাই, তাই আমি ভোট দেইনি।”

একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেছেন, “আমি কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, কিন্তু গিয়ে দেখি আমার সাথের জনের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। তখন ওর সাথে আমিও চলে আসি।”

আরেকজন ভোটার জানিয়েছেন, “আমার বাসা মোহাম্মদপুর, কিন্তু আমি ভোটার যাত্রাবাড়ীর। রাস্তায় তো গাড়ি চলে নাই, আমি যে যাব, তারপর ফিরে আসব কিভাবে - তাই যাই নাই।”
২৫ বছরেও এমন চিত্র দেখা যায়নি

বাংলাদেশের ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন হচ্ছে উৎসবের মতো।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোট দেবার ব্যাপারে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। বেশিরভাগ মানুষ এদেশে ভোট দিতে যান।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে স্বাধীনতার পর প্রথম দুই দশকে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে ছিল।

নব্বই পরবর্তী সময়ে সেই হার ৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে ৮৭ শতাংশ পর্যন্তও উঠেছিল।

কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন, যা বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বর্জন করেছিল, এবং সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন- এই দুইটি নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, এটি একটি কারণ হতে পারে, তবে প্রধান কারণ নয়

“ভোটারদের আগ্রহ কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে, আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার প্রভাব তো আছেই। যেমন, আমরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সেটা একটা কারণ। অনেকে হয়তো চিন্তা করেছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে তাদের কি-আসে-যায়। এসব নানাবিধ কারণই কাজ করেছে এর পেছনে।”

“এছাড়া নির্বাচনে মূলত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তেরা বেশি গেছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো এমন অনেকে ভোট দিতে যান নাই। অনেকে ছুটি পেয়ে ঢাকার বাইরে বেড়াতে চলে গেছেন।”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচনের তারিখ পেছানো এবং শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ ছিল না। যদিও বিএনপির অভিযোগ, ‘অনিয়মের এ নির্বাচনে’ ভোটার সংখ্যা নির্বাচন কমিশনের তথ্যের চেয়েও কম ছিল।ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে এই নির্বাচনে প্রায় ৫৫ লাখ ভোটার ছিলেন।



আর্কাইভ

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের
ত্রাণ তহবিলে টাকা ব্যাংকে কেন?
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্তদল
ময়মনসিংহের সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা ও ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকবে: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদল
সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
মাজার-ধর্মীয় স্থাপনা রক্ষার কঠোর নির্দেশ, সরকারের