বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু » রাশিয়া থেকে শিগগিরই আসছে করোনাভাইরাসের টিকা!
রাশিয়া থেকে শিগগিরই আসছে করোনাভাইরাসের টিকা!
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসের (2019-nCoV) টিকা উদ্ভাবনে কাজ করছেন রাশিয়া ও চীনের বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে করোনাভাইরাসের জেনোম রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের কাছে হস্তান্তর করেছে চীন। তারা আশা করছেন, শিগগিরই ভাইরাসটির প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের জন্য রাশিয়ার নোভোসিবির্স্কের ভাইরোলোজি ও বায়োটেকনোলোজি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেক্টর ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, এরইমধ্যে তারা পরীক্ষামূলকভাবে দু’টি টিকার প্রোটোটাইপ উদ্ভাবন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রিনাত মাকসুইতভ জানান, আগামী জুনে টিকাগুলোর প্রোটোটাইপ প্রথমবারের মতো পরীক্ষা করা হবে।
তিনি জানান, ভেক্টর ইনস্টিটিউট এরইমধ্যে নোভেল করোনা ভাইরাসের দু’টি প্রকারভেদ আবিষ্কার করেছে।
এদিকে রাশিয়ার কাছে ভাইরাসটির জেনোম হস্তান্তর করেছে চীন। এ বিষয়ে জানিয়েছে চীনের গুয়াংজুতে অবস্থিত রাশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়।
বুধবার গুয়াংজুর রুশ কনস্যুলেট এক বিবৃতিতে জানায়, চীনা কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার কাছে করোনা ভাইরাসের জেনোম হস্তান্তর করেছে। এটা মানবদেহে ভাইরাসটির উপস্থিতির বিষয়ে পরীক্ষার পদ্ধতিকে আরও সহজ করতে রুশ বিজ্ঞানীদের চেষ্টাকে সাহায্য করবে।
ভাইরাসটি প্রতিরোধে টিকা উদ্ভাবনের জন্য রাশিয়া ও চীনের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে কাজ করছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সি-ফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতোমধ্যেই চীনের বিভিন্ন প্রদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স ও কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি।
তা সত্ত্বেও নোভেল করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিকে বিশ্ব জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি জেনেভায় সংস্থাটির বিশেষ কমিটির বৈঠকের পর সংস্থাটি এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে চীনের জন্য জরুরি অবস্থা সৃষ্টির কথা স্বীকার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চীন থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে এ ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।