বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস
অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে মহামারী রূপ নিয়েছে করোনোভাইরাস। মরণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।তবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে প্রথমবারের মত গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। চীনের বাইরে প্রথম কোনো দেশ এ ভাইরাস আবিষ্কার করল। যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এক ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এ গবেষণা থেকে পাওয়া ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ ল্যাবের গবেষকরা বলেছেন, সংক্রামিত রোগীর কাছ থেকে ভাইরাসটির অনুলিপি নিয়ে ভাইরাসটি আবিষ্কার করতে পেরেছেন। গত শুক্রবার তাদের কাছে এ নমুনা পাঠানো হয়েছিল।ডা. মাইক ক্যাটন বলেছেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এ জাতীয় একটি ঘটনার জন্য পরিকল্পনা করে আসছি এবং সে কারণেই আমরা এতো দ্রুত উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছি।’ চলছিল দীর্ঘ সময় ধরেই। হয় সেখান থেকেই ভাইরাস কোনোও ভাবে বাইরে চলে গেছে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) নানাবিধ অপকর্ম বিষয়ক গবেষক মাইলস গুয়ো ভারতীয় দৈনিক জিনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভাইরাস যে দুর্ঘটনাক্রমে কারখানা থেকেই ছড়িয়েছে পরিস্থিতি শান্ত হলেই তা স্বীকার করবে সিসিপি। সরকারের সবুজসংকেত পেলেই এ ঘোষণা দেবে দল। দুর্ঘটনার পরপরই গোপনে কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান।
২৫ জানুয়ারির ওই সাক্ষাৎকারে গুয়ো আরও বলেন, ‘সংক্রমণ ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত আকার ধারণ করবে এবং ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হবে- কারখানা ঘুরে এসে নিজের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সে কথাই বলেছিলেন কিশান।’
জানা গেছে, ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে এই ল্যাবরেটরির জন্যই রয়েছে আলাদা উইং, যার বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তবে সার্স ও ইবোলা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। বলা হয়, রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত গবেষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার মৃত্যু।