মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » কিনছি ভালো, কিন্তু এটা চালাবার লোক আছে তো- প্রধানমন্ত্রী
কিনছি ভালো, কিন্তু এটা চালাবার লোক আছে তো- প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:‘রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়’ শীর্ষক ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা খরচের একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় যন্ত্রপাতি কেনার পর তা ব্যবহার হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ দুপুরে একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এই সংশয়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা প্রশ্ন ছিল যে, কিনছি তো ভালো, কিন্তু এটা চালাবার লোক আছে তো? এটা মোটামুটি চিন্তার বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সংশয় ছিল যে, অনেক সময় দেখা যায় আমরা কিনি, কিন্তু পরে ব্যবহারের লোক পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে।এম এ মান্নান বলেন, ‘সেখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সচিবরা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের কিছু লোক আগে থেকেই ছিল। আরও কিছু প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। প্রশিক্ষণের কাজ দ্রুত করা হবে, যেন যন্ত্রপাতি আমদানির পর (যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত) না থাকে।
এই যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্পে রংপুর সিটি করপোরেশন বলেছে, ২০১২ সালে এই সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হলেও এর রাস্তাঘাট, ড্রেন ও ফুটপাতের অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়া বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনাও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রাস্তার উন্নয়ন করা হয়েছে এবং সম্প্রতি অনুমোদিত অন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কিছু রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের উন্নয়ন করা হবে।
এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড- যেমন কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, রাস্তার প্রশস্ততা বৃদ্ধি, গার্বেজ সংগ্রহ ইত্যাদি কাজের জন্য কিছু সংখ্যক যন্ত্রপাতি জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। তাছাড়া বিশাল আকারের সিটির জন্য একটি অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা জরুরি। এতে যেমন রাস্তাঘাটের কার্যক্রমের গুণগত মান বজায় থাকবে, তেমনি কাজ দ্রুত হবে এবং রাজস্ব আয়ও করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় রংপুর সিটির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও কিছু সাধারণ নির্দেশনা দেন। সেগুলো তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন যে, বেশি করে ড্রেজিং (নদ-নদী খনন) করবেন। পানি যেন আমরা অপচয় না করি সেজন্য সবার প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।