শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

BBC24 News
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সীমান্ত হত্যায় বিএসএফের দোষ দেখছেন না কেন খাদ্যমন্ত্রী?
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সীমান্ত হত্যায় বিএসএফের দোষ দেখছেন না কেন খাদ্যমন্ত্রী?
৯০৮ বার পঠিত
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সীমান্ত হত্যায় বিএসএফের দোষ দেখছেন না কেন খাদ্যমন্ত্রী?

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধ করতে হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।এক্ষেত্রে বাংলাদেশী নাগরিকদেই সতর্ক হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।মি. মজুমদার বলেন, “আসলে আমাদের চরিত্র যদি ভালো না হয় - পরের দোষ দিয়ে লাভ নেই।”

নওগাঁ জেলার পোরশা সীমান্তে গত ২২ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়। যে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার, যিনি খাদ্যমন্ত্রী।

রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তার নির্বাচনী এলাকার তিন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা।জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এখানে দোষ বাংলাদেশী নাগরিকদেরই, সুতরাং সরকারের কিছুই করনীয় নেই। মি: মজুমদার বলেন, “আমরা গরুর বিট খুলতে দিবনা। আমাদের উপজেলায় রেজ্যুলুশন আছে, বিজিবি’র রেজ্যুলুশন আছে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ রেজ্যুলুশন আছে।”

“তারপরেও কেউ যদি জোর করে কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে যায় আর ইন্ডিয়ার মধ্যে গুলি খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে প্রায় সাড়ে তিনশ বাংলাদেশী নাগরিককে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

অথচ উভয় দেশ গত ১০ বছর যাবত পরস্পরকে সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করছে। চলতি বছরের প্রথম ২৫ দিনেই প্রায় ১০ জন বাংলাদেশী বিএসএফ’র হাতে নিহত হয়েছে।

বাংলাদেশের ভেতরে অনেকেই সমালোচনা করেন যে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে সরকারের যতটা সরব হওয়া উচিত, ততটা তারা হচ্ছেনা।উল্টো বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের সাথে সম্পৃক্ত কিংবা সরকারি কর্মকর্তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যাতে বাংলাদেশীদের দোষ বেশি - এমনটাই তুলে ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কোনভাবেই সীমান্তে গুলি করে হত্যা করার বিষয়টি আইন অনুযায়ী একেবারেই যুক্তিসংগত নয়।

খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে মি: খান বলেন, “দায়িত্বশীল পদে থেকে যদি এ ধরণের বক্তব্য দেয়া হয়, তখন ধরেই নিতে হয় যে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতার দিক রয়েছে।বাংলাদেশ সরকার বরাবরই দাবি করে যে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ এবং প্রতিবাদ ভারত সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে বিএসএফ বলে, সীমান্তে তাদের সদস্যরা আক্রান্ত হলেই কেবল গুলি করে।

২০১১ সালে কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানি খাতুনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর বিএসএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সীমান্ত হত্যাকান্ড তারা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে, এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে না।কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছুদিনের মধ্যে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এটা স্পষ্ট যে সেই নীতি মেনে চলা হচ্ছে না।



আর্কাইভ

গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যা নিহত বেড়ে ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে
নিউইয়র্কে হাডসন নদীতে পড়ল হেলিকপ্টার, নিহত ৬
চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৪৫ শতাংশ, ভয়ংকর ট্যারিফ যুদ্ধে কে জিতবে
ভারতের হঠাৎ কেন এমন পদক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে’ ভারতকে পাশে চায় চীন
বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চাই: ইসলামী আন্দোলন
পিছু হটলেন ট্রাম্প?
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক কার্যকর, মার্কিন অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়বে!
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু