সংসদে ৮ হাজার ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে ঋণখেলাপি ৮ হাজার ২৩৮ জন ব্যক্তি বা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সিআইবি ডাটাবেসে রক্ষিত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসভিত্তিক হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।বুধবার জাতীয় সংসদে আহসানুল ইসলাম টিটুর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।অর্থমন্ত্রী এ সময় কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত ১০৭ পৃষ্ঠাবিশিষ্ট একটি তালিকা সংসদে উত্থাপন করেন। সেই তালিকায় স্থান পায় কে কত টাকার ঋণখেলাপি।প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ত্রৈমাসিকের তথ্য অনুযায়ী ২৫টি ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ নিউ (নতুন) ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তাদের গৃহীত ঋণের বকেয়া স্থিতির পরিমাণ ১ হাজার ৬১৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। যা মোট ঋণের ০.১৬৬৬ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ নিজ ব্যাংক ব্যতিত অন্য ৫৫টি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাদের গৃহীত ঋণের উপস্থিতির পরিমাণ ১ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। যা ব্যাংকগুলোর মোট প্রদেয় ঋণের ১১.২১ শতাংশ।
সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ২৫টি ব্যাংকের পরিচালকরা তাদের নিজ ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন। শুধু রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে কোনো পরিচালক ঋণ নেননি।
অর্থমন্ত্রী জানান, নিজ ব্যাংক থেকে সব থেকে বেশি ঋণ নিয়েছেন এবি ব্যাংকের পরিচালকরা। তাদের ঋণের স্থিতি ৯০৭ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটি থেকে এর পরিচালকরা ৩৬২ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এদিকে এক্সিম ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে নিজ ব্যাংকের কোনো পাওনা নেই বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তবে অন্য ব্যাংকগুলোর পরিচালকদের কাছে পাওনার দিক থেকে এই দুই ব্যাংক শীর্ষে রয়েছে বলে জানান তিনি।অর্থমন্ত্রী জানান, ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৯ হাজার ১৭৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও এক্সিম ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৫১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন অন্য ব্যাংকের পরিচালকরা।এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকেও বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন অন্য ব্যাংকের পরিচালকরা। তাদের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পাওনা ১০ হাজার ১২৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংক থেকে ৯ হাজার ৭৩৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন অন্য ব্যাংকের পরিচালকরা।