গ্যাসের মজুত আর মাত্র ১১ বছর
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত রয়েছে, যা মাত্র ১১ বছর ব্যবহার সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।সোমবার (২০ জানুয়ারি) সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্মসূচি শুরু হয়।প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রসমূহ থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে এখনো ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে, যা ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাসের কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।গ্যাস নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রহণ করা পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্ট-এ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া সিলেট জেলার জকিগঞ্জে এবং ভোলা জেলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস ০৪, এসএস ০৯, এসএস ১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস ১২তে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রের ব্লগ ০৪ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।নিজ দলের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের অপর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ, বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।