সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর » নেত্রকোনায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে কৌশলে গর্ভপাত
নেত্রকোনায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে কৌশলে গর্ভপাত
বিবিসি২৪নিউজ,নেত্রকোনা প্রতিনিধি:নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ৫ম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কওমী মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে বর্তমানে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রোয়াইল বাড়ি কওমী মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার সেই আ. হালিম সাগর (৩৫) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর থেকে সপরিবারে এলাকা থেকে পলাতক তিনি।নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালের ওসিসি সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি রোয়াইলবাড়ি কওমী মহিলা মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণিতে পড়তো। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার দুই সন্তানের জনক আ. হালিম সাগর গত প্রায় চার মাস পূর্বে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এই ব্যাপারে কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন তিনি। পরবর্তীতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে সুপার তাকে গত দু’মাস পূর্বে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ান। গত পরশুদিন পুনরায় শিশুটিকে কলা খাওয়ালে তার গর্ভপাত ঘটে। এরপর থেকে মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হলে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরে গত রবিবার রাতে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।পরবর্তীতে আজ সোমবার সকালে ডাক্তার, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং হাসপাতলের নারীবান্ধব পর্যবেক্ষকরা কাউন্সিলিং শুরু করেন। শিশুটির মা বেঁচে নেই। তার বাবা কেন্দুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছেন।এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, অভিযুক্ত সুপার এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে। ওই সুপার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চর আমতলা কোনাবাড়ী গ্রামের ফারুখ মিয়ার ছেলে। তিনি কয়েক বছর আগে রোয়াইলবাড়ি বাজার সংলগ্ন একটি কওমী মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সুপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরএমও একরামুল হাসান বলেন, তারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আছে। এছাড়া মানসিক অবস্থার জন্য কাউন্সিলিং করছেন। কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত রাত থেকে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।