মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » Uncategorized » প্রথম রাজ্য হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা
প্রথম রাজ্য হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরালা সরকার। সিএএ-কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক।মঙ্গলবার এ দাবি তুলেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে পিনারাই বিজয়নের সরকার। এই আইনটির বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে ইতোমধ্যে ৬০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারা মেনে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। যেখানে কেন্দ্র ও এক বা একাধিক রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের অভিযোগ শুনতে হবে শীর্ষ আদালতকে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ নম্বর ধারায় সকলের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। ২১ এবং ২৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে বাঁচার অধিকার এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম মানার অধিকার। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন এই তিন ধারার বিরোধী।
কেরালা সরকারের দাবি, সিএএ মূলত একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই টার্গেট করছে। কেরালা সরকারের আবেদনে বলা হয়েছে, “এই আইন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা চিন্তা করছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় যে তামিল হিন্দুরা রয়েছেন, কিংবা নেপালে যে মাধেশি জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের কথা ভাবা হচ্ছে না।” এক কথায় এই আইন নাগরিকদের সমানাধিকার খর্ব করছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। এই রাজ্য ধর্মনিরপেক্ষতার নিদর্শন রয়েছে। শুরু থেকেই এখানে গ্রিক, রোমান, আরবী, খ্রিস্টান, মুসলিম-সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বাস করছেন। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে কখনোই নষ্ট হতে দেব না।”
বিজয়নের অভিযোগ, নাগরিকত্ব আইন এনে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সিএএ’র প্রতিবাদে এখনও দেশজুড়ে বিক্ষোভ-মিছিল অব্যাহত। ব্যতিক্রম নয় কেরালাও। সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, এই আইন অসাংবিধানিক।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ হয়। এছাড়া প্রায় প্রতিনিয়ত এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এই আইনের বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অনেকে।
এছাড়া এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী শত শত মানুষকে গ্রেফতার করে।