
বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | তথ্যপ্রযুক্তি | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » নাসায় ৫৪তম দেশ বাংলাদেশ, নভোচারী হতে পারবে বাংলাদেশিরাও
নাসায় ৫৪তম দেশ বাংলাদেশ, নভোচারী হতে পারবে বাংলাদেশিরাও
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার একটি নতুন দুয়ার খুললো। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশে নভোচারী হতে পারবে। ৫৪তম দেশ হিসেবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’ এর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, আর্টিমিস জেনারেশন হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, যারা মহাকাশ অভিযাত্রী হবে। তারা শুধু পৃথিবীতেই থাকবে না ভবিষ্যতে বিভিন্ন গ্রহে ভ্রমণ করবে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ৫৪তম দেশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ আর্টেমিস অ্যাকর্ডস সাইন করার ফলে বাংলাদেশের কী লাভ হয়েছে, সেটা দেখতে হলে আরও ২০-২৫ বছর সময় লাগবে। বর্তমান ইয়ুথ জেনারেশন হচ্ছে গ্লোবাল এবং তাদের এক্সপেক্টেশনও গ্লোবাল। আমরা যদি চাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কোনো মহাকাশ অভিযাত্রী তৈরি হবে, তাহলে আজকের এ পদক্ষেপ তার সূচনা।
তিনি বিনিয়োগ আকর্ষণে সংস্কারের অত্যাবশ্যকতা তুলে ধরে বলেন, আমরা যদি রিফর্মের কথা বলি তাহলে ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেটের রিফর্মের লিস্টটা অনেক বড়। হয়তো এক বছরের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে এ লিস্ট ধরে আমাদের আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে। সম্প্রতি তারা ওয়াসার সঙ্গে একটি প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভ করেছে। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে এ বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ফান্ডিং সাপোর্ট দেবে। উনাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শুধু সরকারকে ফান্ডিং করা নয় পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও তারা ফান্ডিং করতে চায়। এজন্য সেই ব্যালেন্স তারা আনতে চায়।
এনডিবির ইনভেস্টের যে অর্থ তার সুদের হার কত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, এনডিবি সব দেশকে একইভাবে ট্রিট করে। তারা প্রতিবেশী দেশ ভারতকে যে সুদ হারে দেবে, আমাদেরও সেই একই হারে দেবে। পাশাপাশি তারা একাধিক মুদ্রায় ঋণ দিচ্ছে, শুধু মাত্র ডলারে নয়। একই সঙ্গে আমরা তাদের প্রাইভেট সেক্টরে আসার জন্য বলেছি এ কারণে ভালো কোম্পানিগুলোতে তারা রিস্ক অ্যাসিস্ট করে ইনভেস্ট করবে। এনডিবির ঋণ সহায়তা খুবই সফট, বিশ্ব ব্যাংকের মতো নয়। তাদের ঋণগুলো ক্লাসিক কমার্শিয়াল থেকে কিছুটা সস্তা হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন নাসার অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জ্যানেট পেট্রো। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি, অ্যাক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস এস গার্ডিনার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, স্পারসোর চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের চিফ অব প্রটোকল ও মহাপরিচালক এএফএম জাহিদ-উল-ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের পরিচালক মো. শফিউল আলম, বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি।