
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ ঘোষণার সুপারিশ যুক্তরাষ্ট্রের, নয়াদিল্লির প্রতিবাদ
ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ ঘোষণার সুপারিশ যুক্তরাষ্ট্রের, নয়াদিল্লির প্রতিবাদ
বিবিসি২৪নিউজ, ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসাবে মনোনীত করার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন (USCIRF)। সেই সঙ্গে একজন প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ২০২৪ সালেও ভারতে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত ছিল। কারণ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছিল।
কমিশন আরও বলেছেন, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং নাগরিক সমাজের গোষ্ঠীসহ যারা ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন - তারা কনস্যুলার পরিষেবা বঞ্চিত, ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া (ওসিআই) কার্ড বাতিল, সহিংসতার হুমকি এবং নজরদারির মতো প্রতিশোধের মুখোমুখি হয়েছেন।
২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ভারতের ‘পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ’ মার্কিন-ভারত সম্পর্কের একটি ভাঙন হিসেবে দেখা দিয়েছে। ওয়াশিংটন প্রাক্তন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবকে ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। যদিও ভারত শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
গত বছরের এপ্রিলে নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন এদের ‘বেশি সন্তান’ রয়েছে।
মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এক বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, মার্কিন কমিশনিটি ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন জারি করার নিজস্ব ধরণ’ অব্যাহত রেখেছে। গণতন্ত্র এবং সহনশীলতার আলোকবর্তিকা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা সফল হবে না।