![BBC24 News](https://www.bbc24news.com/cloud/archives/fileman/bbc-logo.jpg)
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » ট্রাম্প-মোদির রুদ্ধতার বৈঠক
ট্রাম্প-মোদির রুদ্ধতার বৈঠক
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্প ক্ষমতা লাভের পর দুই নেতার মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মোদি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অধীরভাবে অপেক্ষা করছি।
দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটনে তাদের প্রথম বৈঠকের পর থেকেই বড় বড় সম্মেলনে তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে যথেষ্ট বৈঠক করেছেন।
তাদের দৃঢ় সম্পর্কের নেপথ্যে রয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতিতে দৃষ্টিভঙ্গির সাদৃশ্য এবং অভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে নিয়ে উদ্বেগ। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে সম্মত হবেন দুজনই।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, সফরকালে ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকজন সদস্য ছাড়াও শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃত্ব এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোদি। পাশাপাশি, স্পেসএক্স এবং টেসলা মালিক ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।
এছাড়া, কৌশলগত আলোচনার পাশাপাশি বাণিজ্যের বিষয়টিও গুরুত্ব পেতে পারে এই বৈঠকে। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই এর প্রতিফলন দেখা গেছে। এর প্রেক্ষাপটেই দিল্লির পক্ষ থেকে আমদানি শুল্ক কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পরিমাণে তেল আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়।
এরমধ্যেই কিছু ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত আগাম পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারতের কাছে সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো থেকে বিরত রাখা এবং নতুন প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা কমানো।
অবশ্য দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে মোদিকে শুল্ক আরও কমানোর কথা বলতে পারেন ট্রাম্প। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় চার হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মোদি। এর মধ্যে দিয়ে দুই পক্ষের জন্যই শুল্কই হ্রাসের চেষ্টা করা হবে।
ভারতের পরমাণু শক্তিখাতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিতে পারেন ট্রাম্প। জ্বালানি নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ বিবেচনায় দিল্লি পারমাণবিক দায় সংক্রান্ত আইন সংশোধন করছে এবং নতুন পারমাণবিক শক্তি মিশনও ঘোষণা করেছে।
এছাড়া দুজনের মধ্যে প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এমনকি উঠে আসতে পারে ইরানের মতো অন্য দেশের প্রসঙ্গ।