সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » কঠোর অভিবাসননীতির অঙ্গীকার ট্রাম্পের
কঠোর অভিবাসননীতির অঙ্গীকার ট্রাম্পের
বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন (ওয়াশিংটন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনই অভিবাসী নীতিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির জনাকীর্ণ এক ময়দানে হাজারো সমর্থকের সামনে নিজের প্রধান নির্বাচনি অঙ্গীকারটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনাতে আয়োজিত ‘মেইক অ্যামেরিকা গ্রেইট অ্যাগেইন ভিক্টরি র্যালি’তে সমবেত সমর্থকদের প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, আগামীকাল (স্থানীয় সময় সোমবার) সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম অভিবাসী নির্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করার প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। তার এই প্রধান নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হলে কয়েক কোটি মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। তবে এই ধরনের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি এতই বেশি, তা সম্পাদনে বেশ কয়েক বছর সময় আর অঢেল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হবে।
গতকালের জনসভার সঙ্গে তার ২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণার সময়ের যথেষ্ট সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। স্বভাবসুলভ বাগাড়ম্বর, মিথ্যা বক্তব্য ও একগাদা প্রতিজ্ঞা শুনিয়ে শ্রোতাদের মন জুগিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বসিত করে তোলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেছেন, এটি মার্কিন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন। আর ৭৫ দিন আগে আমরা এমন এক মহাকাব্যিক রাজনৈতিক জয়লাভ করেছি, যা যুক্তরাষ্ট্রে কখনও দেখা যায়নি। আগামীকাল থেকে দেশের প্রতিটি সংকট নিরসনে আমি অলৌকিক শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ব।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির পর গতকাল ডিসিতে বক্তৃতা দিলেন ট্রাম্প। ওই বক্তব্যের আগে ইউএস ক্যাপিটলে হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা। ওই হামলার জন্য অভিযুক্ত হাজার দেড়েক মানুষের বেশিরভাগকেই ক্ষমা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই জনসভার বক্তব্য ও অভিষেক ভাষণেই ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের কাঠামো অনুমান করা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্য ইতোমধ্যেই গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল দখল, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর মতো খায়েশ আর চীনের ওপর চড়া শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে বিশ্ববাসীকে তটস্থ করে রেখেছেন তিনি।
ক্ষমতা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাইডেন প্রশাসনের সব ‘উদ্ভট ও চরমপন্থি এক্সিকিউটিভ অর্ডার’ বাতিলের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞাত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন, প্রথম দিনেই দুই শতাধিক এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।