সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল, আছেন নেতা খালিদা জাররার
৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল, আছেন নেতা খালিদা জাররার
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে বন্দী থাকা ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিন চুক্তির শর্ত মেনে গতকাল রোববার তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা সবাই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নিজ ভূমিতে ফেরার পর স্বজনকে জড়িয়ে ধরেন একজন ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলের কারাগার থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন খালিদা জাররার। তিনি রাজনীতিবিদ ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) নেতা।
খালিদা জাররার একসময় ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। ইসরায়েলে তাঁকে নির্জন কারাকক্ষে রাখা হয়েছিল। মুক্তির পর খালিদার শীর্ণ চেহারা দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।আল-জাজিরার সংবাদদাতা নিদা ইব্রাহিম জানান, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এসব শিশুর কয়েকজনকে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
নিদা ইব্রাহিম বলেন, বন্দীদের তালিকায় এমন শত শত নাম আছে, যাঁদের মূলত প্রশাসনিকভাবে আটক রাখা হয়েছিল। এটা ইসরায়েলের এমন একটি কৌশল, যা ব্যবহার করে দেশটি সাধারণ মানুষকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাগারে আটকে রাখে।
ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের সংগঠন প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি এবং কারাবন্দী ও সাবেক কারাবন্দীদের জন্য গঠন করা কমিশন জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় বন্দী আছেন।এবার যুদ্ধের মধ্যে গাজা উপত্যকা থেকে ঠিক কতজনকে ইসরায়েলি বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে, সেই সংখ্যা কেউ জানে না।
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরতে শুরু করেছেন হামাসের কাছে থাকা জিম্মি ব্যক্তিরা। প্রথম দফায় তিনজন জিম্মি পরিবারের কাছে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
স্থানীয় সময় গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার।