রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হওয়ার পরেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (১৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণে রাফাতের পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলে চারটি অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহতে একটি গুদামে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তবে এসব অভিযানে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। তবে হামাস জিম্মিদের তালিকা এখনো দেয়নি বলে যুদ্ধবিরতি এখনই শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা প্রকাশ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে না। তবে হামাস জানিয়েছে, কারিগরি জটিলতার কারণে নামের তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।
এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল সরকার গতকাল শনিবার হামাসের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।
একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী লরিগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।
আর তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একইসঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।