শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনার তথ্য বিনিময়
ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনার তথ্য বিনিময়
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তান আজ একযোগে নিউ দিল্লি ও ইসলামাবাদে পরমাণু স্থাপনাগুলোর তালিকা বিনিময় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও বিনিময় করা নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনা ও অস্ত্রের এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি ভারত ও পাকিস্তান।
জানা গেছে, তিন দশকের বেশি সময় ধরে চলে আসা চুক্তি অনুসরণ করে গত ১ জানুয়ারি নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর তালিকা বিনিময় করেছে ভারত ও পাকিস্তান। যা পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর আক্রমণ নিষিদ্ধ করার চুক্তির আওতায় রয়েছে।
পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর আক্রমণ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯১ সালে তা অনুমোদিত হয়। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তালিকা বিনিময় শুরু হওয়ার পর থেকে এটি ছিল ৩৪তম বার্ষিক তালিকা বিনিময়।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) ২০২৪ সালে ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা যথাক্রমে ১৭২টি ও ১৭০টি বলে অনুমান করেছে।
এসআইপিআরআই জুন মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, “ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থাপন করার ক্ষমতা অর্জন করতে চাচ্ছে; যেটি রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সম্প্রতি চীন ইতোমধ্যে অর্জন করেছে।
”
আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড নন-প্রলিফারেশন সেন্টারের (এসিএ) তথ্যমতে, পাকিস্তানের বর্তমানে ছয়টি পারমাণবিক সক্ষম ভূমি-ভিত্তিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে স্বল্প-পাল্লার (১০০০ কিমি এর কম) এবং মধ্যম-পাল্লার (১০০০-৩০০০ কিমি) ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত। পাকিস্তান আরও তিনটি মধ্য-পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত করার কাজ করছে। এর মধ্যে একটি হলো আবাবিল।
এটি স্বাধীন লক্ষ্যভেদে সক্ষম একাধিক রি-এন্ট্রি ভেহিকল (এমআইআরভি) বহন করতে পারে।
এসিএ ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, “পাকিস্তানের কিছু স্বল-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিশেষত নতুন নাসর (হাতফ-৯) ভারতীয় লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, নাসর সম্ভবত ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে। ”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামাবাদের ভূমি-ভিত্তিক পারমাণবিক বাহিনীগুলো রোড-মোবাইল ডেলিভারি সিস্টেম ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব সিস্টেম ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে।
পাকিস্তান নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে সক্রিয়ভাবে উন্নত করছে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রাগার হয়ে উঠবে। এতে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় ২০০-তে পৌঁছাবে।