বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » হামাসের কমান্ডার সাবাহর হত্যার খবর নিশ্চিত করল ইসরাইল
হামাসের কমান্ডার সাবাহর হত্যার খবর নিশ্চিত করল ইসরাইল
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামাসের নুকবা প্লাটুনের কমান্ডার আবদ আল হাদি সাবাহকে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নুকবা প্লাটুনের এই কমান্ডারকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস অঞ্চলে হত্যা করা হয়েছে, আইডিএফ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য। তাদের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে কিবুতজ নির ওজে হামলা পরিচালনা করেছিলেন আবদ আল হাদি।
এক্সে আইডিএফ জানিয়েছে, ‘আইডিএফ ও আইএসএর গোয়েন্দাভিত্তিক হামলায় ওয়েস্টার্ন খান ইউনিস ব্যাটালিয়নের নুকবা প্লাটুন কমান্ডার আবদ আল হাদি সাবাহকে হত্যা করা হয়েছে।’
তারা আরও যোগ করেছে, ‘আবদ আল হাদি সাবাহ খান ইউনিস অঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবির থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ৭ অক্টোবর কিবুতজ নির ওজ গণহত্যার অন্যতম নেতা ছিলেন। এ ছাড়াও বর্তমান যুদ্ধে আইডিএফ সেনাদের ওপর একাধিক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন। ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় যে সন্ত্রাসীরা অংশ নিয়েছিল, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইডিএফ ও আইএসএ তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।’
এর আগে গত মঙ্গলবারই আইডিএফ ও শিন বেটের যৌথ অভিযানে প্যালিস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের রকেট ইউনিটের নর্দান সেক্টরের কমান্ডার আনাস মুহাম্মদ সাদি মাসরিকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তার পরিচয়ে বলা হয়, ‘অনেক সন্ত্রাসী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা এক চরিত্র। ইসরাইলি বেসামরিক মানুষ ও আইডিএফ সেনাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা করা একটি সংগঠনের অভিযান পরিচালনা করতেন তিনি।’
৭ অক্টোবরের পর থেকে মাসরি উত্তর গাজা থেকে ইসরাইলি সীমান্ত অঞ্চলে রকেট হামলাগুলো সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেছেন।
এর আগে আইডিএফ জানায়, ইসরাইলের সাধারণ নিরাপত্তা পরিষেবা সিনবেটের সঙ্গে মিলে এর বিভিন্ন ইউনিট ১৪ জন হামাস ‘সন্ত্রাসী’দের হত্যা করেছে, যার মধ্যে ৬ জন্য সক্রিয়ভাবে ৭ অক্টোবরের ‘গণহত্যায়’ অংশ নিয়েছেন। এই অভিযানগুলো গাজায় আইডিএফের ১৬২তম স্টিল ডিভিশনের কার্যক্রমে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের ওপর একটি বিশাল আক্রমণ চালায় যেখানে এক হাজার ২০০ মানুষ মারা যায় এবং ২০০ মানুষ বন্দি হয়। ১০০ জন বন্দি এখনও ছাড়া পায়নি।
এই হামলার জবাব হিসেবে গাজায় হামাস ইউনিটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে পালটা আক্রমণ চালায়। তবে ইসরাইলের এ অভিযানে ৪৫ হাজার প্রাণহানি ঘটেছে গাজায়। এই যুদ্ধ পরবর্তীতে আরও তীব্র হয় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহি ও লেবাননের হেজবুল্লাহর অংশগ্রহণে। ইসরাইলের সন্দেহ এই দুই পক্ষই ইরানের প্রক্সি।