বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » ইইউতে ফিরতে ফ্রান্সের সহযোগিতা চায় তুরস্ক
ইইউতে ফিরতে ফ্রান্সের সহযোগিতা চায় তুরস্ক
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাটো অঞ্চলে তুরস্কের মূল্য বাড়ছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর দেশটির নিরপেক্ষ অবস্থান গুরুত্ব বাড়িয়েছে বহুগুণে। রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের তুরস্ক এবার দাবি করছে, তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যপদ পেতে প্রস্তুত।
সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাকান ফিদান বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছেন। তুরস্কের চাচ্ছে যতদ্রুত সম্ভব ইইউ’র সদস্যপদ পেতে। খবর ফ্রান্স ২৪ এর বরাতে আনাদালু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের স্বীকৃতি পেলেও আলোচনা দুই যুগ বন্ধ রয়েছে। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর আলোচনাও অনেকটা থেমেই যায়। প্রায় দুই যুগ পেরিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে আলোচনা সামনে আনতে চাচ্ছে তুরস্ক। সেই লক্ষ্যে দ্রুতই ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসলা ফন ডার লেনকে তুরস্ক ঘুরে যেতে অনুরোধ করেছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
ফ্রেঞ্চ মিডিয়াকে হাকান ফিদান বলেন, ‘আমাদের চাওয়া তিনি (উরসলা ফন ডার লেন) আমাদের এখানে আসুক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইচ্ছা দ্রুতই বিষটির সমাধান করতে।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তুরস্কের থাকতে চাওয়ার দুটি লাভের কথাও বলেছে তুরস্ক। প্রথমত ভূরাজনৈতিকভাবে এই অঞ্চলটি গুরুত্ব বেড়েছে। অপরটি, অবাধ বাণিজ্যের সুযোগ। তুরস্ক তাই ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সম্মত হয়েছে।
হাকান ফিদান বলেন, ‘আমাদের চাওয়া তুরস্ক ও ইউরোপকে একসূত্রে গাঁথা। তুরস্ক ও ফ্রান্সের মাঝে পুরোনো সেই বন্ধুতে ফিরতে চাই (প্রি-সার্কোজি)।’
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিকোলাস সারকোজি। তখন ইইউতে তুরস্কের আলোচনা থামাতে ভূমিকা রেখেছিলেন সার্কোজি। বিষয়টি সামনে এনে তুর্কি মন্ত্রী হাকান বলেছেন, ‘তুরস্কের সদস্য পদ পাওয়ার আলোচনা যখন চলছিল, তখন কিছু অভ্যন্তরীন রাজনীতির কারণে তুরস্ক নিয়ে ভিন্ন মত আসে। তুর্কিরা এখন ইউরোপের সঙ্গে নতুনভাবে এগোতে চায়, অর্থনৈতিক ও সামরিকখাতেও আরও বড় ভুমিকা রাখতে চায়।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট যদিও ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পথে বাধা এখনও পুরোপুরি দূর করেননি। ন্যাটোর সদস্য ও প্রতিবেশী দেশ গ্রিসের প্রতি বৈরি মনোভাব দেখিয়েও তিনি নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তবে তুরস্কের সদস্য পদ পেতে ভুমিকা রাখতে পারে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকা।