বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » নতুন সংবিধান প্রণয়নস বেশকিছু দাবি জানালেন চব্বিশের বিপ্লবীরা
নতুন সংবিধান প্রণয়নস বেশকিছু দাবি জানালেন চব্বিশের বিপ্লবীরা
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র’ জারির দাবিতে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে তিনি এ আলটিমেটাম দেন। ওই কর্মসূচিতে অন্য বক্তারা গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য এবং আহত ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা, রাষ্ট্র সংস্কার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের দাবি জানান। তারা বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুনভাবে প্রণয়নেরও দাবি জানান। বক্তারা বলেন, শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দেননি। ফ্যাসিবাদের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচন নয় বলেও মন্তব্য করেন।
ওই কর্মসূচির শেষ বক্তা ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র নেই। আমরা বলেতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনারা ঘোষণাপত্রের পক্ষে জেলায়, মহল্লায় মানুষের কাছে যাবেন। তাদের কথা শুনবেন তারা কী বলতে চান। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে আমাদের সংগ্রাম জারি থাকবে। আবার দেখা হবে ১৫ জানুয়ারি ঘোষণাপত্র নিয়ে। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশে এখন আর আমাদের কোনো শত্র“ নেই। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সরকারের জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র প্রকাশকে স্বাগত জানালেও জন-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন না হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, সরকারের প্রোক্লেমেশনে যদি জুলাইয়ের আকাক্সক্ষা না থাকে বাংলার বাঘ-বাঘিনীরা তা মেনে নেবে না। ফ্যাসিবাদীদের বিচার সরকার না করতে পারে, তাহলে বাংলার বাঘেরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবে। তিনি বলেন, জুলাইয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা একটি ঘোষণাপত্রে লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলাম। সরকার এরপর প্রোক্লেমেশন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি আরও বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি থাকবে না। এ বছরের মধ্যেই আমরা হত্যাকারীদের বিচার দেখতে চাই। পরে শহিদ মিনারে হাত তুলে উপস্থিত সবাইকে শপথ পাঠ করান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্রের দাবিতে শনিবার রাতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় সোমবার রাতে হঠাৎ করে সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার কথা জানানো হয়। সরকারের ওই ঘোষণায় কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন করে মার্চ ফর ইউনিটি (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি নেওয়া হয়। এতে সারা দেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এমন অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল গড়াতে শহিদ মিনার এলাকা লোকারণ্যে পরিণত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস ও মাইক্রোবাসেও অনেকে এসেছেন। বাস নিয়ে কর্মসূচিতে আসার পথে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটে হামলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা। সরেজমিন আরও দেখা গেছে, কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অনেকের মাথায় ছিল জাতীয় পতাকা। অনেকের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও প্ল্যাকার্ড। কেউ কেউ ফিলিস্তিনের পতাকাও বহন করেন। কর্মসূচির শুরুতে জুলাই আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শহিদ মিনারে স্থাপিত ডিজিটাল পর্দায় দেখানো হয় জুলাই আন্দোলনের তথ্যচিত্র। এতে উঠে আসে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দমন-পীড়নের চিত্র।
বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আজ এতদিন হয়ে গেল, এখনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা দেখেছি পিলখানায় দেশপ্রেমিক অফিসারদের একজন একজন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই, শিগগিরই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক। আমরা শাপলা চত্বর ভুলে যাইনি। শাপলা চত্বরে লাইট নিভিয়ে রাতের আঁধারে আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের হত্যার সেই বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গুম-খুনের বিচার করতে হবে।
সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আপনি যদি মনে করেন সিন্ডিকেট এক হাত থেকে আরেক হাতে চলে গেছে। তাহলে আপনার কাজটা কী। সিন্ডিকেটদের হাত ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিপ্লবীর গায়ে যদি হাত ওঠে, এ সরকারকে তার দায়ভার নিতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য সচিবালয়ে, পুলিশে, বিচার বিভাগে বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে। আমরা আপনাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অতীতে ছিল সতীদাহ প্রথা, এখন আমরা দেখছি নথিদাহ প্রথা। যারা সচিবালয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বলতে চাই, রিয়েলিটি মাইনা নেন। আপনাদের ‘আম্মু’ আর দেশে ফিরবে না। যাকে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি, তার এ দেশে আর পুনর্বাসন হবে না।
মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি শুরু হয় জুলাই-আগস্টের শহিদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসানের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের হত্যার ৫ মাস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুনিরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা বিচারের নামে প্রহসন চাই না। যত দ্রুত সম্ভব বিচার করুন। আমাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য করবেন না। শহিদ পরিবার ও আহতদের পরিবারকে রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য করবেন না। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে খুনি হাসিনা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছে, তাদের হেলমেট বাহিনী পাখির মতো আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে। হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। তাহলেই শহিদের আÍা শান্তি পাবে।
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো সক্রিয়, জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে এখনো খুনির দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। সচিবালয় হোক বা যে কোনো জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র করলে আমরা তাদের উৎখাত করে ছাড়ব। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে এখনো কীভাবে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা হয়? যদি আমাদের নিরাপত্তা না দিতে পারেন, তাহলে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে আপনাদের আর বসিয়ে রাখব না। আমরা দেখছি ছাত্রলীগ-যুবলীগ এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তারা আমাদের আহতদের দেখে মুচকি হাসে। আমরা যদি বিচার করতে না পারি, তাহলে শহিদদের আÍাকে আমাদের জবাব দেওয়ার কিছু থাকবে না।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা দেখছি দেশের প্রতিটি জায়গায় আগের মতোই সিন্ডিকেট সক্রিয়। এগুলো ভাঙতে হবে। কেন এখনো শুনব এক হাত থেকে আরেক হাতে সিন্ডিকেট স্থানান্তর হচ্ছে। কেন সেই হাতগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না? তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে কেউ যদি আমাদের ওপর মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, সেই মাথা আমরা মাটিতে নামিয়ে আনব। আমাদের বিপ্লবীরা কেউই ঘরে ফিরে যায়নি। আমাদের যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, সেগুলো আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা আহত যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে চাই।
আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচন নয় : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। আমাদের যারা আহত আছেন তাদের প্রতি ন্যায়বিচার হয়নি। তাদের পুরোপুরি পুনর্বাসন করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা সরকারকে দিতে হবে। আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেব না। এজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাঠে থাকবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ৫ মাস পার হলেও কেন আমাদের শহিদ মিনারে একত্রিত হতে হয়েছে? কেন প্রোক্লেমেশন ঘোষণা হয়নি? কোনো ঘোষণাপত্র কেন প্রকাশ করা হয়নি। সরকার যে প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে চেয়েছে, তা আমরা সাধুবাদ জানাই৷ এই প্রোক্লেমেশন নিয়ে আমরা কালক্ষেপণ চাই না৷ এটা আলোচনার টেবিলে অনেক আগেই সমাধান হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি আলোচনার টেবিলে কোনো সমাধান হয় না। এর সমাধান শুধু রাজপথ।
নতুন সংবিধান পেতে চায় মানুষ : জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান ও সংস্কার পেতে চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন প্রোক্লেমেশন নিয়ে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে, তখন আমরা দেখলাম সরকার সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত আমরা সমর্থন করছি। আমরা সরকারকে বলতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাইয়ের প্রোক্লেমেশন দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, আমাদের বলে, নতুন সংবিধান করবে তার ম্যান্ডেট কোথায়। আমরা বলি, নতুন সংবিধান নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হবে। বাংলাদেশের আগামীর নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে যারা জয়ী হবে তারা সংবিধান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল শহিদ মিনার এলাকা। ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা।
সংস্কার ও বিচার দাবি : জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুল আজিজ বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা নির্বাচনের জন্য রক্ত দেইনি, নির্বাচনের জন্য দেহের অঙ্গ দেইনি। আমরা সংস্কার চাই। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। এর আগে নির্বাচন হবে না।
সরকার ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, অবশেষে সরকার ছাত্র-জনতা চিনতে পেরেছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন ঘোষণা না হলে আবারও লাখো লাখো জনতা মাঠে নেমে আসবে। সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যায় বিচার ও রাষ্ট্রের সংস্কার আমাদের আদায় করতে হবে। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবেন না।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ১৫ মাস জেলে আটক থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, সবার একটাই চাওয়া শেখ হাসিনার বিচার। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলায় ১৫ মাস জেল খেটেছি। সরকার পালটেছে ৫ মাস হয়েছে কিন্তু আমি কোনো বিচার পাইনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা খোলস পালটে শিবির, ছাত্রদলে যোগ দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আপনাদের কী লজ্জা করে না, আপনাদের এত ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ কেন? আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই।