শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তেহরান: ইসরায়েলের দিকে ‘তাক করা’ ইরানের ১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তেহরান: ইসরায়েলের দিকে ‘তাক করা’ ইরানের ১০০০ ক্ষেপণাস্ত্র
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইরান। আবার যুদ্ধ এড়াতেও চাচ্ছে দেশটি। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেল আবিবের দিক থেকে যখন পাল্টা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখনই এ খবর জানাল নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তবে একই সঙ্গে তা এড়ানোরও চেষ্টা করছে। প্রতিবেদনে চার ইরানি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। যারা বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে ইসরায়েলি হামলার জবাব দেওয়ার জন্য ‘একাধিক পরিকল্পনা’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তারা সতর্ক করে বলেন, উল্লেখযোগ্য ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটলে ইরান পাল্টা আক্রমণ করবে। তবে ইসরায়েল যদি সীমিতভাবে সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রের গুদামগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে তবে তারা এই সংঘাত বাড়ানো থেকে বিরত থাকতে পারে।
তেহরানের চার কর্মকর্তার মধ্যে ইসলামী রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের দু’জন সদস্য বলেন, ইসরায়েল যদি তেল স্থাপনা, পারমাণবিক স্থাপনা অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে, তবে ইরান ১ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এর জবাব দেবে।
এদিকে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালানোর লক্ষ্যে গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ছক কষছে ইসরায়েল। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও তেল আবিব হামলার পরিকল্পনা ‘আপাতত স্থগিত’ করেছে বলে জানা গেছে।
দ্য টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্ভাব্য সংবেদনশীল সামরিক তথ্য ফাঁসের কারণে ইসরায়েল ইরানে তার পাল্টা হামলার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছে।
হামাসের হামলার জেরে গাজায় এক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। এক বছর ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর গত মাসে লেবাননেও আগ্রাসন চালায়। লক্ষ্য ইরানসমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা। হিজবুল্লাহর ওপর হামলার জেরে ইরানের সঙ্গেও সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব তার নিজের এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলেরও শত্রু ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে হাঁটছে।