শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » আগাম বিদায় নেবেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস?
আগাম বিদায় নেবেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস?
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধি: আগামী রোববার জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনেও এসপিডি হারলে শলৎস চ্যান্সেলর হিসেবে আরো দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন৷ জয়ের মুখ দেখলে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন৷
একের পর এক নির্বাচনি বিপর্যয়ের ফলে বেশ চাপের মুখে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ তাঁর জোট সরকারের শরিক দলগুলিও ভোটারদের রোষের মুখে পড়ছে৷ দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট শক্তির ক্ষমতা বাড়ছে৷ প্রধান বিরোধী রক্ষণশীল শিবিরও সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছে৷ সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগেই তারা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস-কে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করে সরকারের উপর আক্রমণ আরো জোরদার করছে৷
পূবের স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে ভরাডুবির পর শলৎসের এসপিডি দল আগামী রোববার বার্লিন-সংলগ্ন ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে আবার ভোটারদের সমর্থন চাইছে৷ ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর থেকেই সেই রাজ্যে এসপিডি-র নেতৃত্বে একটানা সরকার গঠিত হয়েছে৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী এবার সেই ধারাবাহিকতায় ভাঙন আসতে পারে৷ উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি দল সমর্থনের বিচারে প্রায় এসপিডির সমান অথবা সামান্য এগিয়ে রয়েছে৷
ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য এসপিডির হাতছাড়া হলে চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ এমনকি নিজের দলের মধ্যেও তাঁর প্রতি সমর্থন আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে অন্য কোনো নেতাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করা হতে পারে৷ এমনটা ঘটলে শলৎসের পক্ষে বর্তমান কার্যকাল পূর্ণ করাও কঠিন হতে পারে৷ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেও নতুন করে আর চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবেন না, এমন ঘোষণা করা উচিত বলে এসপিডি দলের একাংশ মনে করছে৷ সে ক্ষেত্রে সংকটে জীর্ণ জোট সরকারও নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে কিনা, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ তবে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেতা বরিস পিস্টোরিউস সরকারের হাল ধরলে এসপিডি দলের বেহাল অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷
একাধিক কারণে শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে৷ বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা, বিশাল সংখ্যক বিদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের মতো বিষয় ভোটারদের মনে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে৷ জোট সরকারের মধ্যে প্রকাশ্যে কোন্দল ও চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎসের যথেষ্ট শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছে৷
ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত এসপিডি সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হিসেবে আগামী সরকার গঠনের দায়িত্ব পেলে শলৎস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ সেই রাজ্যের রাজধানী পট্সডাম তাঁর নির্বাচনি এলাকা৷ তাঁর স্ত্রীও রাজ্যের একজন মন্ত্রী৷ তবে নির্বাচনি প্রচারে এসপিডি দল শলৎসের প্রায় উল্লেখ না করে বরং জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডিটমার ভইডকে-কে সামনে রেখে ভোটারদের সমর্থন চাইছে৷ এএফডি সবচেয়ে শক্তিশালী দল হলে তিনি পদত্যাগ করে কোনো জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেননা বলে জানিয়েছেন৷