বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু » ট্রাম্পকে বিতর্কে কড়া আক্রমণ কমালার
ট্রাম্পকে বিতর্কে কড়া আক্রমণ কমালার
বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন (ওয়াশিংটন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে: যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বিতর্কে কমালা হ্যারিস ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘বিশ্ব নেতারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। ’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পকে তার লাঞ্চে খেয়ে ফেলবেন।
বিবিসি এবং আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ আয়োজিত বিতর্কে স্থানীয় সময় রাত ৯ টায় কমালা এবং ট্রাম্প বিতর্ক শুরু করেন।
বিতর্কের শুরুতেই ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্যমূলক হাত মেলান কমালা। এরপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
কমালা হ্যারিস বলেন, ট্রাম্পের মতো একজন নেতা, যিনি জনগণের রায়কে অস্বীকার করার চেষ্টা করেন, এমন কাউকে আমাদের দেশ নেতৃত্ব দিতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকান জনগণ একজন যোগ্য নেতার দাবি রাখে।
বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সময় হ্যারিস ট্রাম্পের প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ইউরোপের বাকি অংশের দিকে নজর দিচ্ছেন। পুতিন একজন স্বৈরশাসক, যিনি আপনাকে লাঞ্চে খেয়ে ফেলবেন। কমালা আরও দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক দৃঢ়।
অন্যদিকে, ট্রাম্প জো বাইডেনকে ‘অনুপস্থিত প্রেসিডেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেন এবং অভিযোগ করেন, কমালা হ্যারিস ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিতর্কের শেষ পর্যায়ে ট্রাম্প কমালাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট’ বলে অভিহিত করেন।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তা নিয়ে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে, গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়ে কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেওয়ায় নির্বাচনী সমীকরণ বদলে গেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কিন নাগরিকরা কি প্রথমবারের মতো একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেবেন, নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসাবেন? এই উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর পর্যন্ত।