শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ
৫৭৫ বার পঠিত
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ। রবিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২০ আর ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ছিল ৫২ লাখ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত তিন দিন বৃষ্টি বন্ধ হলেও ভারত থেকে নেমে আসা পানির কারণে নোয়াখালীর সেনবাগে প্রতিদিনই বাড়ছে পানি। যার ফলে ক্রমেই ভোগান্তি বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের। আশ্রয়ের খোঁজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটাছুটি করছে তারা। অন্যদিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলেও পানি না কমায় মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানান, বন্যায় নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না এবং হওয়ার আশঙ্কা নেই।

এদিকে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত জায়গায় দ্রুত সময়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স সভায় এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় টাস্কফোর্স সভা তার কার্যালয় যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘবে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, উদ্ধার ও তাৎক্ষণিক ত্রাণকার্য পরিচালনার ব্যয়ভার মেটানোর জন্য ২০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে এবং জরুরি চিকিৎসা প্রদানসহ তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

গত তিন দিন বৃষ্টি বন্ধ হলেও ভারত থেকে নেমে আসা পানির কারণে নোয়াখালীর সেনবাগে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। যার ফলে ক্রমেই ভোগান্তি বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের। আশ্রয়ের খোঁজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটাছুটি করছে তারা।

উপজেলার সব স্কুল কলেজ, মাদ্রাসাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলেও ওই কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছেন না খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন ত্রাণ তৎপরতা চালালেও তা অপ্রতুল। এছাড়া গবাদি পশু নিয়েও মহাবিপাকে রয়েছে খামারিরা। পশুগুলোর নেই খাদ্য, নেই থাকার জায়গা।

যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। সামাজিক সংগঠনগুলো সড়কের পাশে এবং শহরকেন্দ্রিক ত্রাণ বিতরণ করার কারণে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে বলে জানা গেছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর দাবি, সরকারিভাবে স্পিডবোট ব্যবস্থা করা হলে উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বন্যায় পানিবন্দি মানুষের নিকট ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কসহ উপজেলার সব পাকা ও কাঁচা সড়ক পানির নিয়ে তলিয়ে থাকায় ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকায় ট্রাক আর ট্রাক্টর একমাত্র ভরসা। গত এক দুদিনের মধ্যে নৌকা এসে পৌঁছানোর কারণে তা দিয়ে কোনো রকমে চলছে যোগাযোগ। সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ জানান, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

গত ছয় দিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে ওঠায় নতুন করে কাটাছড়া, ইছাখালী, ওসমানপুর ও ধুম ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব এলাকার শতশত মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রয় নিয়েছে। সর্বশেষ তিন দিনে করেরহাট, জোরারগঞ্জ ও হিঙ্গুলী ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে অতিবৃষ্টি ও ফেনী নদীর ফানির কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়।

গত এক সপ্তাহ বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা ফেনী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বেশিরভাগ দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে পণ্যসামগ্রী। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া মহাসড়কে তীব্র যানজট। আবার গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলোও পানিতে ডুবে থাকায় ভেঙে পড়েছে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে দেখা দিয়েছে খাদ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সংকট।

সেই সংকটের সুযোগে প্রায় সব পণ্যের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন মজুতদারেরা। বিদ্যুৎ ও শুকনো জ্বালানি কাঠ না থাকায় মোমবাতি ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই এই দুটি পণ্যের দামে দেখা দিয়েছে নৈরাজ্য।

সোমবার ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ডাক বাংলো এলাকায় দেখা গেছে, ৫ টাকা দামের মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৫০ টাকায়। ১৪০০ টাকার সাড়ে ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার এখন বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। আবার কোনো কোনো এলাকায় টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না এই দুটি পণ্য।

তাই একদিকে যেমন রান্নাবান্না করা যাচ্ছে না বলে শুকানো খাবার খেয়ে অর্ধাহারে দিন পার করতে হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ধ্যার পর থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাত পার করতে হচ্ছে বানভাসি মানুষগুলোকে।

চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, ডিম, লবণের মতো পণ্যের সরবরাহ নেই বললেই চলে। শাকসবজির সরবরাহ না থাকায় প্রায় সবগুলো বাজারই বন্ধ। এতে, বেশ বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গত ফেনী জেলার ৯০ ভাগ এলাকার সাত লাখেরও বেশি বাসিন্দা। তাই ত্রাণ হিসেবে পাওয়া শুকানো খাবার চিড়ামুড়ি ও বিস্কুটই একমাত্র ভরসা। অনেকের কপালে আবার তাও জুটছে না।

সোনাগাজী উপজেলার লকুর বাজার এলাকার দোকানি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাজারের বেশিরভাগ দোকানের মালামাল বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো অবশিষ্ট ছিল, সেগুলো প্রথম দুই দিনে বিক্রি হয়ে গেছে। ফেনী শহরের পাইকারি দোকানগুলো থেকে নতুন পণ্য আনার উপায়ও নেই।’

শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২০ কিলোমিটার পথ কোমর সমান পানি ঠেলে গিয়ে তিন-চার গুণ দামে মাত্র পাঁচ প্যাকেট মোমবাতি কিনেছি। আসা-যাওয়ার খরচসহ প্রতিটি মোমবাতির দাম পড়েছে ২০ টাকা। আমি ২৫ টাকায় বিক্রি করছি।’

তবে, ইমাম হোসেন নামে ওই এলাকার এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, ‘বাজারের দোকানদাররা সিন্ডিকেট করে একেকটি মোমবাতি ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। যাদের কাছে গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল তারা প্রতি সিলিন্ডার তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করছে।

ফেনীর লালপোল এলাকার লালপোল সুপারশপের মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পুরো ফেনী জেলার পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মহাসড়কে যানজটের কারণে চট্টগ্রাম থেকে পণ্য আনা যাচ্ছে না।

---বন্যার পানিতে বেশিরভাগ পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক দোকানদার তাদের পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন। বন্যার পানি নেমে গেলেও পণ্য সরবরাহ ঠিক হতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী শাহ আলম।

এদিকে চার দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হলেও গাড়ির গতি খুবই ধীর ছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্ট পার হতে সময় লাগছিল অনেক।

চট্টগ্রামমুখী লেনে শনিবার রাত পর্যন্ত বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঢাকামুখী লেনে উভয় লেনের গাড়ি চলছিল। মহাসড়ক চালু হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি ছাড়ায় যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর