রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ মানুষ, মৃত্যু ১৮
বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ মানুষ, মৃত্যু ১৮
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গতকাল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাঁকশিমুল ইউনিয়নের গাজীপুরের কালিকাপুর থেকে তোলা। ছবি : আব্দুর রহমান
এবারের বন্যায় ১২ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি। বন্যায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১২ জেলায় মোট ১৮ জন মারা গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, নোয়াখালীতে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছে।
আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে তিন হাজার ৫২৭টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন আশ্রয় নিয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরে ও উজানের ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত অনেকটাই কমেছে।
এতে দেশের উত্তর-পূর্ব, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত এই উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে সচিব কামরুল হাসান জানান, ভারি বর্ষণ কমেছে। বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে পানিবাহিত রোগবালাই প্রতিরোধের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলমান বন্যা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জানাতে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। এ সময় সচিবের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এবং দুর্যোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বন্যাপীড়িত মানুষের চিকিৎসাসেবাসহ অন্য সেবা সরেজমিনে তদারক করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এখন ফেনীতে অবস্থান করছেন বলে জানান সচিব।
কামরুল হাসান বলেন, চলমান বন্যায় চট্টগ্রামে পাঁচ, কুমিল্লায় চার, নোয়াখালীতে তিন, কক্সবাজারে তিন, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীতে একজন করে মারা গেছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় নগদ তিন কোটি ৫২ লাখ, শিশুখাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ ও গোখাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ত্রাণকাজের অংশ হিসেবে ২০ হাজার ১৫০ টন চাল ও ১৫ হাজার শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।
সচিব আরো বলেন, বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৭ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৮৭টি। ১১ জেলায় এখন পানিবন্দি আছে ৯ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে ৭৭০টি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে বলে জানান সচিব। ফেনীতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি ভি-স্যাট চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সচিব জানান, বন্যাদুর্গত ১১ জেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার ১৫০ টন। এ ছাড়া শুকনা ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার পিস। শিশুর খাদ্য কেনার জন্য ৩৫ লাখ এবং গোখাদ্য কেনার জন্য ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে ৭০টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে। ফেনীতে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসকরা সেখানে সেবা দিচ্ছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২-৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ছাত্রসমাজ ও বিজিবি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব।
দেশের অন্যান্য জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
নোয়াখালী : কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর রেগুলেটরের সব গেট খুলে দিলেও পানি সেভাবে নামছে না। ফলে এখনো তলিয়ে আছে সড়ক, মহাসড়ক। বহু বাড়িঘর এখনো পানিতে ডুবে আছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, নোয়াখালীর আট উপজেলার অন্তত ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলায় ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এ ছাড়া বন্যায় এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন হাটবাজারে পানি উঠে যাওয়ায় কাঁচাবাজারগুলোর ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। ক্রেতা কম থাকায় শাক-সবজি বিক্রি করতে না পারায় সেগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে। জেলার বৃহৎ বাজার চৌমুহনীর সবজি ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুছ জানান, কোনো রকম রাস্তার ওপর বসে বিক্রি করলেও আশানুরূপ ক্রেতা নেই। ক্রেতা না আসায় সবজিতে পচন ধরেছে।
গতকাল অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছেন নোয়াখালীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে মুক্তা বেগম (২৩) নামের ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, দুই দিনে সাপের কামড়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৫ জন। গত শুক্রবার ৯ জন এবং এর এক দিন আগে বৃহস্পতিবার ২৬ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছে।
কুমিল্লা : জেলার ত্রাণ কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সাত লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩০ ফুট ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢোকা শুরু হয়েছিল, গতকাল বিকেল পর্যন্ত সেই ভাঙন ৫০০ ফুটে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
পাউবোর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, নদীর পানি না কমলে এই বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয়, তত দিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে থাকবে। অন্য কোথাও যেন বাঁধ না ভাঙে সেই চেষ্টা করছেন তাঁরা।
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা পরিস্থিতিকে আরো তীব্র করে তুলেছে। কারণ সঠিক তথ্য না জানায় উদ্ধার তৎপরতা এবং ত্রাণ বিতরণে সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল দুপুরে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার বলেন, পুরো উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার। এখনো পানিবন্দি আছে ৪৩ হাজার ৭৫০ জন। তাদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের বেশির ভাগ মিটার পানির নিচে। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। ত্রাণের নৌকাগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর দিয়ে যায়। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই পানি কমলেই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেব।
অন্যদিকে চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জসহ ১২টি উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জ : নদীর পানি কমলেও বন্যকবলিত ছয়টি উপজেলার অবস্থা প্রায় অপরিবর্তিত। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমি রানী বল জানান, সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। মোট ১৮ হাজার ২৪০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৭২ হাজার ৭৬০। এখন পর্যন্ত মোট ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মাত্র ৯০১ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় ৯০০, নবীগঞ্জে ২৫০, মাধবপুরে ২০০, চুনারুঘাটে ৮২, বাহুবলে ৩৫ ও শায়েস্তাগঞ্জে ২০টি মৎস্য খামার প্লাবিত হয়েছে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান জানান, বেরিয়ে যাওয়া মাছের আনুমানিক মূল্য ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এ ছাড়া অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে আরো এক কোটি ২৩ লাখ টাকার।
চট্টগ্রাম : বন্যায় মিরসরাই, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মিরসরাইয়ে ৫০টি এবং ফটিকছড়িতে ১০টি উদ্ধারকারী নৌযান দিয়ে কার্যক্রম চলছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্রে গতকাল আরো জানা যায়, চট্টগ্রামের ১১ উপজেলায় পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪৫৬। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮০ জন।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন অনেকটাই ত্রাণবাহী গাড়ির দখলে। নানা যানবাহনে ত্রাণ নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। পক্ষান্তরে চরম বিপাকে আছে নানা কাজে রাজধানী ঢাকা কিংবা দূরবর্তী স্থানের যাত্রীরা। লালপুল এলাকায় মহাসড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় দীর্ঘ যানজট, তাই সেখানে পৌঁছানো যানবাহনগুলো বিপাকে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে বন্যায় অনেক সেতুর অ্যাপ্রোচ ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। শহরের শান্তিনগর, কমলছড়ির বেতছড়ি মারমাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় সড়ক ও সেতুর ক্ষতি হয়েছে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা জানান, সড়ক ও সেতুর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষতির বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
জেলায় মোট ৯ হাজার ৭০০ ফসলি জমি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর : নোয়াখালীর পানি ঢুকছে লক্ষ্মীপুরে। গতকাল বিকেল থেকে এই পানির চাপ বাড়ছে। এতে নতুন করে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নোয়াখালীর পানির চাপ এসে পড়ছে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ, চরশাহী, দিঘলী, হাজীরপাড়া, দত্তপাড়া, মান্দারী, কুশাখালী, তেওয়ারীগঞ্জসহ কয়েকটি ইউনিয়নে।
সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে এখন পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলায় ছয় লাখ ৫৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৮৯টি সাইক্লোন শেল্টারে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।