শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » দেশের বন্যা মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা
দেশের বন্যা মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করতে সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সমন্বিতভাবে স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফান্ড মোভিলাইজ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
সাধারণ মানুষের ত্রাণ তৎপরতায় উচ্ছাস প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেভাবে দেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে তাতে আমি অভিভূত।’
শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় বাসভবন ও কার্যালয় যমুনায় এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন— ‘এনজিওরা বাংলাদেশে শক্তি। তরুণরা আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। ইউ ক্যান ডু ইট।’
প্রেস সচিব জানান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ক্ষুদ্র, মাঝারি, বড় ও স্থানীয় ৪৪টি এনজিওর প্রতিনিধিদের প্রায় দু-ঘণ্টা প্রাণবন্ত বৈঠক হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা, পরবর্তী করণীয় এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, ‘বন্যার পানি নামার পরবর্তী যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে পানিবাহিত রোগ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও খাদ্য ও পুনর্বাসন ব্যবস্থায় সমন্বিত উদ্যোগে একযোগে কীভাবে কাজ করা যায় তা দেখতে হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশ মানুষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে কাজ করেছিল, ঠিক একইভাবে তারা বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে। পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে ত্রাণ তুলে বানভাসি মানুষের সহায়তায় কাজ করছে। তিনি বলেছেন, তরুণদের যে উদ্যোগ, তরুণদের প্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বন্যা মোকাবিলার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে এনজিওদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে কাজ করে থাকে। আমরা তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীরা যদি ত্রাণ সহায়তা নিয়ে পরশুরামে গিয়ে দেখে যে, সেখানে স্থানীয় এনজিও কাজ করছে, তখন শিক্ষার্থীদের তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে সহজ হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানির নামার পরই মূল কার্যক্রম। পানিবাহিত রোগ, খাদ্যের ঘাটতি, ঘরবাড়ি পুনঃস্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। তাই এনজিওদের সঙ্গে নিয়ে এসব বিষয়ে কাজ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করার। মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে যাতে ডিজেল পাঠিয়ে টাওয়ারগুলো সচল করা যায়। যতটা সম্ভব প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়া যায়। এবং যত দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়। তাহলে দ্রুত মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা যাবে। কেননা, ওইসব জেলার বেশির মানুষ বিদেশে থাকে। তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। আর ত্রাণ বিতরণ এবং পুনর্বাসন একসঙ্গে চালু করা হয়েছে।
বৈঠকে এনজিওর প্রতিনিধিরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জোন হিসেবে ভাগ করে কাজ করার পরামর্শ দেন। তাছাড়া, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।