বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে, রেল যোগাযোগ ও বন্ধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে, রেল যোগাযোগ ও বন্ধ
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: টানা বৃষ্টি এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যানবাহন চালক ও যাত্রী সাধারণ।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত যানজট অব্যাহত রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের উপজেলার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। ফলে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
পরিবহন চালক জহির আলী জানান, কালির বাজারের পর থেকে সড়কে হাঁটুপানি। ফলে গাড়ি চালানো অনেক কষ্টকর। ধীরগতি হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেছে।
মিয়া বাজার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে পানির কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।চট্টগ্রাম: ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া রেল সেতুর ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু বন্যার কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে যেতে পারেনি। ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে।
বন্যার পানিতে কুমিল্লায় রেললাইন উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা হয়েছে সিলেটের একটি রেল সেতুতেও। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনেও পাহাড় ধস হয়েছে। এ অবস্থায় ট্রেন চালানো খুবই বিপজ্জনক। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেলের সম্পদ রক্ষায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার কারণে ফেনী ও কুমিল্লায় রেললাইন ডুবে গেছে।