মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » আফ্রিকা | আর্ন্তজাতিক | সাবলিড » কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সে মৃতের সংখ্যা ৫৭০ ছাড়িয়েছে
কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সে মৃতের সংখ্যা ৫৭০ ছাড়িয়েছে
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল রজার কাম্বা জানিয়েছেন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে।
দেশটিতে মাঙ্কিপক্সের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন এলাকায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭০০ জন এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে।
এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন।
রোগটির সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
ইতোমধ্যে ডি আর কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডাতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া ইউরোপের সুইডেনেও এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
তাছাড়া এশিয়ায় পাকিস্তান ও ফিলিপাইনে এমপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে এমপক্স আতঙ্কে ভারতের সকল বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের স্থল সীমান্তেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। খবর এনডি টিভি
বাংলাদেশেও প্রধান বিমানবন্দর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ বিষয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, শরীরে হাত পায়ে ব্যথা ইত্যাদি মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক কিছু উপসর্গ। এছাড়া মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। শরীরে ছোট ছোট অসংখ্যা ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে। ধীরে ধীরে সেই ক্ষত আরও গভীর হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে। মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত ব্যক্তিকে র্স্পশ করা, চুমু দেওয়া, যৌন সম্পর্ক থেকে এটি ছড়াতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের খুব কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণ ঝুঁকি থাকে। মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত প্রাণীর কাছাকাছি গেলেও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।