শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » পিএসসির প্রশ্ন যেভাবে ফাঁস হতো!
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » পিএসসির প্রশ্ন যেভাবে ফাঁস হতো!
১৬০ বার পঠিত
বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পিএসসির প্রশ্ন যেভাবে ফাঁস হতো!

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রশ্নফাঁস নিয়ে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। একযুগে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তিন কর্মকর্তা। তারা ব্যবহার করতেন অফিস সহায়ক, গাড়ি চালকদের। এভাবে লুটে নিতেন কোটি কোটি টাকা।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে এসেছে অনেক হাইপ্রোফাইলের নামও। পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা। তারা ব্যবহার করতেন অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলামকে।

সিআইডির তথ্যমতে, পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর, জাফর ও সহকারী পরিচালক আলমগীর প্রশ্নফাঁস করতেন। এরপর খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলামের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন সরবরাহ করতেন। মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের বাসায় এনে উত্তরপত্র পড়াতেন তারা। আর পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী টাকা লেনদেন ও প্রশ্নফাঁসের বুথ পরিচালনা করতেন।

সিআইডি বলছে, পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নফাঁস করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। গত ৫ জুলাই রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস করেন তারা। চুক্তি অনুযায়ী পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষার্থীদের বাসায় এনে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দিয়েছেন। তদন্তে এখন পর্যন্ত অনেকের নাম সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিও রয়েছে। সবার তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় হবে।

বিসিএসসহ পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত ‘বিসিএস প্রিলি–লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর সোমবার (৮ জুলাই) রাতে বিপিএসসির তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই রাজধানীর পল্টন থানায় বিপিএসসি আইনে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নিপ্পন চন্দ্র চন্দ। মামলায় ৩১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার ১৭ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

গ্রেফতারদের পরিচয় ও পেশা
মামলার এক নম্বর আসামি সৈয়দ আবেদ আলী (৫২)। তিনি রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী। তবে তিনি দীর্ঘদিন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই নম্বর আসামি নোমান সিদ্দিক (৪৪)। লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকার বাসিন্দা নোমান থাকতেন মিরপুর-১০ সেনপাড়া পর্বতা এলাকায়। পেশায় তিনি গার্মেন্টস (পোশাক) ব্যবসায়ী। তিন নম্বর আসামি খলিলুর রহমান (৩৮)। চার নম্বর আসামি মো. সাজেদুল ইসলাম (৪১)। পাঁচ নম্বর আসামি আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫)। তিনি মিরপুর ইসিবি চত্বরের ডেভেলপার ব্যবসায়ী। ছয় নম্বর আসামি পিএসসির উপ-পরিচালক (সিলেট) জাহাঙ্গীর আলম (৫৮)। সাত নম্বর আসামি পিএসসির সহকারী পরিচালক এসএম আলমগীর কবীর (৪৯)। আট নম্বর আসামি গাজীপুর সেনানিবাসের অডিটর প্রিয়নাথ রায় (৫১)। নয় নম্বর আসামি মিরপুরের জাহিদুল ইসলাম (২৭)। দশ নম্বর আসামি পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর (৫৭)।

বাকি আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুল হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার ও সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।

---এখনো যারা পলাতক
পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বনিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।

সিআইডি জানায়, গত ৫ জুলাই পিএসসির আয়োজিত রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের (নন ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন হুবহু ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এবং উত্তর বিতরণ করেছে একটি সংঘবদ্ধচক্র।

যেভাবে শুরু সিআইডির অভিযান
গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর শ্যামলী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, বসুন্ধরাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে আসামিদের অবস্থানের তথ্য পায় সিআইডি। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ৭ জুলাই রাতে রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে প্রথমে লিটন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।

লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে সিআইডিকে জানায়, তার সহযোগী প্রিয়নাথ ও জাহিদের কাছ থেকে তিনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেতেন। প্রশ্ন ও উত্তরের বিনিময়ে তাদের টাকা দিতেন।

তার তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে মহাখালী এসকেএস টাওয়ারের ফুডভিলা হোটেল থেকে প্রিয়নাথ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি অভিযুক্ত জাহিদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র পেতেন। প্রশ্ন ও উত্তরের বিনিময়ে তিনিও নিদিষ্ট পরিমাণে টাকা জাহিদুলকে দিতেন।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর