সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাজ্যে প্রথম দিনই সুনাকের রুয়ান্ডানীতি বাতিল করলেন স্টারমার
যুক্তরাজ্যে প্রথম দিনই সুনাকের রুয়ান্ডানীতি বাতিল করলেন স্টারমার
বিবিসি২৪নিউজ,রুপা শামীমা লন্ডন থেকে: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই সদ্য বিদায় নেওয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের অভিবাসন প্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণাই দেন স্টারমার। আলজাজিরা।
স্টারমার বলেছেন, শুরু হওয়ার আগেই রুয়ান্ডানীতির মৃত্যু ও সমাধি হয়েছে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকাতে এটি কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ ছিল না। যে পরিকল্পনা কোনো কাজে আসে না, সে ধরনের কৌশল আমি চালু রাখব না।’ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, আমি এমন কৌশল চালিয়ে যেতে প্রস্তুত নই, যেগুলো প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে না। পরিকল্পনাটিকে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করছি। যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী ছোট নৌকায় করে আসেন, তাদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র ১ শতাংশ বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর এ বিষয়টি মানব পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলো খুব ভালো করেই জানে। তাই তারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে নিয়ে আসা অব্যাহতই রেখেছে। ইংলিশ চ্যানেল হয়ে নৌকায় করে যারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে এসেছেন তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা করে যুক্তরাজ্য। যার অংশ হিসাবে ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। বিনিময়ে রুয়ান্ডাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেবে ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিতর্কিত এই আইনটি পাশ করা হয়। ওই সময় বলা হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য রুয়ান্ডা একটি নিরাপদ দেশ হবে। এর আগে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছিল মানবিক দিক বিবেচনা করলে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা একটি অবৈধ পরিকল্পনা। কিন্তু আদালতকে টপকে ঋষি সুনাক পার্লামেন্টে আইনটি পাশ করান। এরপর মে মাস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকে ধরপাকড় শুরু হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রুয়ান্ডা বিল উত্থাপনের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্ক চলার পর চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নেন।