বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » রাশিয়ার হুমকির মুখে ‘ইইউ-র” সামরিক তৎপরতা
রাশিয়ার হুমকির মুখে ‘ইইউ-র” সামরিক তৎপরতা
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধি: রাশিয়া ও বেলারুশ সীনান্তে বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরক্ষা অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলি৷ এখনই ন্যাটোর সদস্য হতে না পারলেও ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সেতুবন্ধ’ গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷ ইউরোপের সুরক্ষার লক্ষ্যে এমন সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে ইইউ-র সব সদস্য দেশের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হবে৷ সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ‘হাইব্রিড’ নাশকতার নানা রূপ মোকাবিলার ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে মনে করে পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলি৷ ভুয়া খবর ছড়ানো, সাইবার হামলা, অর্থনৈতিক চাপ ও জোর করে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠেলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপের আশঙ্কা করছে এই দেশগুলি৷কয়েকজন ইইউ কূটনীতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে আনুমানিক ২৫০ কোটি ইউরোর প্রয়োজন হবে৷ এখনো পর্যন্ত ইইউ রাষ্ট্রজোট হিসেবে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এত বড় তৎপরতা দেখায় নি৷ শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, এর আগে গ্রিস ও পোল্যান্ড ইইউ স্তরে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলি ন্যাটোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইইউ স্তরে প্রতিরক্ষা আরো মজবুত করার প্রস্তাব রেখেছে৷ ইউক্রেনের প্রতি অটুট সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সমন্বয় ও সহযোগিতার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করছে৷ ইউক্রেনের সঙ্গে ইইউ-র এক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে৷,ন্যাটোর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটনে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনেও রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউরোপের প্রতিরক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমসের সূত্র অনুযায়ী ইউক্রেন এখনই পূর্ণ সদস্যপদের পথে এগোনোর সুযোগ না পেলেও সে দেশের সঙ্গে ন্যাটোর সমন্বয় বাড়াতে এক বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে৷ এর আওতায় ন্যাটো দেশগুলির দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মধ্যে আরো সমন্বয়ের লক্ষ্যে একএক কেন্দ্রীয় কাঠামো গড়ে তোলা হবে৷ ফলে ইউক্রেনের অস্ত্র, গোলাবারুদ, সামরিক সরঞ্জাম ও সামরিক প্রশিক্ষণের চাহিদা মেটাতে ন্যাটো ভবিষ্যতে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷