শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বন্যা কবলিত সিলেটে পানিবন্দি প্রায় ৬ লাখ মানুষ
বন্যা কবলিত সিলেটে পানিবন্দি প্রায় ৬ লাখ মানুষ
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৩ উপজেলার ৭টি উপজেলাই কমবেশি বন্যা কবলিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলায়। এই উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন মানুষ।
এদিকে বন্যা মোকাবেলায় এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৪৭টি। এরই মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন ৪ হাজার ৮০২ জন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট।
এর মধ্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৯৩ হাজার, কানাইঘাটে ৮০ হাজার ৬০০ জন, জৈন্তাপুর উপজেলায় ৬৫ হাজার, জকিগঞ্জে ৩৯ হাজার ৮৫২ জন এবং গোয়াইনঘাটে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন কন্যাকবলিত হয়েছেন। এ ছাড়া সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৫ হাজার ৫০০ জন এবং গোলপগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ৫০০ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
বন্যা আক্রান্ত উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলায়।
এ উপজেলায় ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৫৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া কানাইঘাট উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৬৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জকিগঞ্জের বন্যা কবলিত ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৯৫ জন। জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের তিনটি করে ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৬৭৫ জন এবং কোম্পানীগঞ্জের ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৩৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় যথাক্রমে ৫টি ও একটি করে ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব উপজেলায় ৬৭টি ও ৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে বিয়ানীবাজারে ৬০ জন এবং গোলাপগঞ্জে ১৫ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম চলছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ইউনিয়নভিত্তিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে।