বুধবার, ২২ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » এমপি আনারের লাশ পাওয়া যায়নি, হত্যার প্রমাণ পেয়েছে : পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি প্রধান
এমপি আনারের লাশ পাওয়া যায়নি, হত্যার প্রমাণ পেয়েছে : পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি প্রধান
বিবিসি২৪নিউজ,বিধান চন্দ্র মন্ডল কলকাতা থেকে: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম ভারতের কলকাতায় হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গত ১৩ মে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশে যান এমপি আনার। ১৭ মে থেকে দেশে তার পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।
তবে, ভারতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার তদন্ত এখন সিআইডির কাছে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির মহাপরিদর্শক (আইজি) অখিলেশ চতুর্বেদী কলকাতায় বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের কাছে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ আছে যে, এমপি আনারকে ‘হত্যা’ করা হতে পারে। কিন্তু পুলিশ এখনো তার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এমপির কলকাতা আসার খবর আমাদের কাছে ছিল না। কলকাতায় তার পূর্বপরিচিত গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে নিখোঁজ ডায়েরি করার পরে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। নিখোঁজ এমপিকে খুঁজতে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেন।’
সিআইডি আইজিপি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তদন্ত করছে। ২০ মে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বার্তা পাই এবং আজ একটি তথ্য পেয়ে আমরা সন্দেহ করছি যে তাকে (এমপি আনার) খুন করা হয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ টুকরো করে লুকিয়ে ফেলা হয়েছে সন্দেহ করে সে অনুযায়ী অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে কলকাতার নিউটাউনের বিলাসবহুল কনডোমিনিয়ামের একটি ফ্ল্যাটে পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটে এমপি আনার গত ১৩ মে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
সেখানে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে সিআইডি আইজিপি অখিলেশ বলেন, ‘আমাদের ফরেনসিক দল সেখানে ক্রাইম সিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এটা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
ওই ফ্ল্যাটটি পশ্চিমবঙ্গের শুল্ক বিভাগের কর্মী সঞ্জীব ঘোষের মালিকানাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন অখিলেশ চতুর্বেদী। তবে সেটি মার্কিন পাসপোর্টধারী আখতারুজ্জামানকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। অখিলেশ বলেন, ‘আমরা এই মামলার রহস্য সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
কলকাতা পুলিশের সূত্র জানায়, এমপি আনার যখন ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিলেন তখন তার সঙ্গে দুই পুরুষ ও এক নারী ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে, ওই তিনজন ১৫ মে থেকে ১৭ মে’র মধ্যে ফ্ল্যাট থেকে বের হন। কিন্তু এমপি আনারকে বের হতে দেখা যায়নি।
ওই তিনজনের মধ্যে অন্তত দুজন বাংলাদেশে ফিরে এসেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিধাননগর পুলিশের একটি দল আজ সকালে ওই ফ্ল্যাটে যায় এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।