শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » আমেরিকার সমর্থন পায়নি ইসরাইল
আমেরিকার সমর্থন পায়নি ইসরাইল
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে ড্রোন হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু তাতে সমর্থন ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির কিছু কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
শুক্রবার ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ইসফাহানে ইসরাইল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ইরান এমন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, অনুপ্রবেশকারীরা কিছু ড্রোন উড়িয়েছিল। তা গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এদিন ইরানের সার্বিক পরিস্থিতি ছিল শান্ত। পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ছিল নিরাপদ।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না পেয়েই ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বিরত থাকতে পারে। এসব বিষয়ে একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন লিখেছে, আমরা কোনো প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করিনি। তবে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইরান বলছে, এ ঘটনার সঙ্গে মাত্র কয়েকটি ড্রোন জড়িত ছিল।
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে দেশটির একজন কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সত্য নয়। ওদিকে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশন গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ঘনিষ্ঠ আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিও’র ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘ইসফাহানের পারমাণবিক কার্যক্রমের কেন্দ্র সম্পূর্ণ নিরাপদ’।
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এসোসিয়েশনের মতে, ইসফাহান নিউক্লিয়ার টেকনোলজি সেন্টারে একটি ইউরেনিয়াম কনভার্সন ফ্যাসিলিটি (ইউসিএফ) আছে। সেখানে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড তৈরি করা হয়। ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড নিউক্লিয়ার চুল্লির জ্বালানিতেও ব্যবহার করা যায়। আবার এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে। ইউসিএফ’র পাশে একটি ইউরেনিয়াম অক্সাইড পাউডার প্লান্ট (ইইউপিপি) আছে, যা ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইডকে ইউরেনিয়াম অক্সাইডে রূপান্তর করে ও জ্বালানি তৈরি করে। ইউরেনিয়াম অক্সাইড আবার ইউরেনিয়াম ধাতুতেও রূপান্তরিত হতে পারে।
ইরান বলেছে যে, তারা চুল্লির জ্বালানি তৈরিতে ইউরেনিয়াম ধাতু ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু এই ধাতু পারমাণবিক বোমার মূল তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ইসফাহান পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্র চারটি ছোট পারমাণবিক গবেষণা চুল্লিও পরিচালনা করে। এগুলোকে সরবরাহ করেছিল চীন। ইরান জোরের সঙ্গে বলে যে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ। সেইসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আগ্রহ বা আকাঙ্ক্ষার কথা তারা অস্বীকার করে। কিন্তু ইসরাইল অভিযোগ করে যে, ইরান পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরি করেছে, যা অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।