বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » মিয়ানমারের সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে, পর্যন্ত সংখ্যা যত
মিয়ানমারের সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে, পর্যন্ত সংখ্যা যত
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধি: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান জান্তা বাহিনী-জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কয়েকশ সৈন্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সীমান্ত সংস্থার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জীবন বাঁচাতে সর্বশেষ বুধবার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন আরও ৬৩ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য। এ নিয়ে বর্তমানে ২৭৭ জন বিজিপি সদস্য অবস্থান করছেন বাংলাদেশে।
২০২১ সালে দেশটি দখলে নিয়ে নেয় জান্তা সরকার। জান্তার বিরুদ্ধে বহুমুখী আক্রমণের মাধ্যমে রাখাইন ও চিন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক-নিয়ন্ত্রিত সরকারী বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে। তখন থেকে রাখাইন আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই দুই রাজ্যে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ও সীমান্ত পুলিশের বিরুদ্ধে চরম যুদ্ধে লিপ্ত।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মায়ানমার সেনাবাহিনী, আরাকান আর্মি, আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) এবং মিয়ানমারে সীমান্তের ওপারে অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। আমাদের বর্ডার গার্ড সদস্যরা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। এর আগেও আশ্রয় নেওয়া ৩০০ সৈন্যকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে প্রথমে আমরা তাদের নিরস্ত্র করি এবং তারপর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা করা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দিই।
প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ২০১৭ সালে জান্তা বাহিনীর নৃশংস দমনপীড়নের শিকার হয়ে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থান করছে। এই অবস্থা উপকূলীয় জেলাটিকে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী বসতিতে পরিণত করেছে।