বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » ইরানকে ‘জবাব’ দেবে যুক্তরাষ্ট্র,আঞ্চলিক সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান
ইরানকে ‘জবাব’ দেবে যুক্তরাষ্ট্র,আঞ্চলিক সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান
বিবিসি২৪নিউজ,যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমন্বিত জবাব দেবার লক্ষ্যে তারা মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছে। ইসরায়েলকে সংযম প্রদর্শন এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, “জি-৭সহ মিত্র ও তার অংশীদারদের সাথে এবং একই সাথে কংগ্রেসের দ্বিদলীয় নেতাদের সমন্বয়ে” বড় আকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন।
সালিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিনগুলোতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছেন। তাছাড়া, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর এবং ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সমর্থনকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
বারবার উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইরানের সাথে কোন সংঘাত বা যুদ্ধ দেখতে চান না বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারে এখনও অটল রয়েছেন। যদিও আক্রমণের পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত কোন তথ্য তারা দেননি।
ইসরায়েলের সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, সময় অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।
অপরদিকে, ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের ধরনের যেকোন পাল্টা আক্রমণের আরও কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
ইরান ৩০০টিরও বেশি ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করলেও এর বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বাধা দিতে সক্ষম হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে অনুমান করা হচ্ছে ইরান আগে থেকেই তাদের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। যদিও হোয়াইট হাউস এর সত্যতা অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান জোনাথন রাইনহোল্ড ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা হয়তো ইরানকে লক্ষ্য করে হবে । তবে বেসামরিক লোকজনের হত্যার পরিকল্পনা নেই এতে। তিনি আরও বলেন, ইরান হিসাবী পরিকল্পনা করলেও এর ফল চূড়ান্ত বিপদের দিকে মোড় নিতে পারে।
তাছাড়া, সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হোয়াইট নাইট ল্যাবসের গ্রেগরি হ্যাচার অনুমান করছে, ইসরায়েল ইরানের কর্মকর্তাদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা বা সাইবার হামলা চালাতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তাদের কূটনৈতিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ সাত ইরানি সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবেই শনিবারের হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইরান।
অপরদিকে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের জন্য তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। তাছাড়া তার নিজ দেশের জিম্মিদের হামাসের হাত থেকে মুক্ত করার জন্যও প্রচণ্ড অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে রয়েছেন তিনি।