সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » ইসরাইলে হামলার তথ্য আমেরিকাকে জানিয়ে দেয় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব!
ইসরাইলে হামলার তথ্য আমেরিকাকে জানিয়ে দেয় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব!
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দখলদার ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলার দুদিন আগেই সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোকে জানিয়েছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা। যাতে হামলার সময় এসব দেশ তাদের আকাশসীমা রক্ষা করতে পারে। কিন্তু সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সে তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেয়!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলের সংবাদপত্র হারেৎজ।
সৌদি আরব ও মিসরের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তারা জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি আরব দেশের সরকার আশঙ্কা করছিল, ইসরাইলকে সহায়তা করলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত হামলার গোয়েন্দা তথ্য জানাতে রাজি হয়।
হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ প্রতিরোধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল জর্ডান। এমনকি ইসরাইলের দিকে ছোড়া ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে জর্ডান নিজেদের যুদ্ধবিমান দিয়েও সহযোগিতা করেছে।
জর্ডানের আকাশসীমা দিয়ে ইরানের পাঠানো যেসব ড্রোন ইসরাইলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল সেগুলোকে বাধা দেওয়া এবং গুলি করে ভূপাতিত করে দেশটির বিমানবাহিনী। এ ঘটনায় ইরান হুঁশিয়ার করে বলেছে, যে দেশ ইসরাইলের পক্ষ নেবে তাদেরকেও ছাড়া হবে না।
১ এপ্রিল সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ১১ জন নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় তেহরান। সেই ঘোষণার সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে ‘অপারেশন ট্রুথফুল প্রমিজের’ আওতায় ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা সেই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান।
ইরান বলেছে, দামেস্কে তাদের কনস্যুলেটে হামলার জবাব দিয়েছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং তা সীমিত আকারে। হামলায় ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুড ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে।
ইরানের ছোড়া অন্তত ৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দুটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এতে সেখানে থাকা ইসরায়েলের একটি সি-১৩০ রসদবাহী উড়োজাহাজ, একটি রানওয়ে এবং একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে।
ইরান বলেছে, চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে প্রাণঘাতী হামলার বদলা হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তেহরান এটাও বলেছে যে ইসরায়েল যদি এর পাল্টা হামলা চালায়, তাহলে আরও বড় পরিসরে হামলার মধ্য দিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি বলেছেন, দখলদার ইসরাইল চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করায় হামলা চালানো হয়েছে। কোনো বেসামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি। শুধু সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করা হয়েছে।