সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » আফ্রিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সোমালি পুলিশ ও বিদেশি নৌ সেনারা
জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সোমালি পুলিশ ও বিদেশি নৌ সেনারা
বিবিসি২৪নিউজ,অনলাইন ডেস্ক: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা মিলে আজ সোমবার অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতের নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে একটি কার্গো জাহাজ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় এ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।
১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। জাহাজে জলদস্যুরা উঠে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই খবর পেয়ে একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার টহল জাহাজ মোতায়েন করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। বাংলাদেশি জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়া পর্যন্ত সেটির কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়ে অনুসরণ করেছিল ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ।
এর মধ্যে গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করেন। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে অভিযান চালিয়ে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডে অনেকগুলো জলদস্যু দলের ঘাঁটি রয়েছে। সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে, তারা সতর্ক অবস্থায় আছে এবং এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক নৌ সেনারা জলদস্যুদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন বলে খবর পাওয়ার পর পান্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা তাৎক্ষণিকভাবে তাতে সাড়া দেয়নি।
গত রোববার পান্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অবস্থানরত জলদস্যুদের সরবরাহ করার জন্য নেওয়া মাদকবাহী একটি গাড়ি জব্দ করেছে তারা।
প্রায় এক দশক ধরে ওই অঞ্চলের সমুদ্রপথে তৎপরতা চালিয়ে সোমালি জলদস্যুরা গত নভেম্বর থেকে ২০টির বেশি জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে। এর সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
সোমালিয়ার এই জলদস্যুদের উৎপীড়ন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। সে বছর তাদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির আনুমানিক ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েক কোটি গিয়েছিল তাদের দেওয়া মুক্তিপণ হিসেবে।