রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | শিল্প বাণিজ্য | সাবলিড » ইসরাইলি খেজুর বয়কট মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার
ইসরাইলি খেজুর বয়কট মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলি পণ্য বর্জন করতে শুরু করেছে মুসলিম দেশগুলো। পবিত্র রজমান মাস শুরু হওয়ায় ইসরাইলি খেজুর বর্জন করার প্রবণতা বেড়েছে অনেকটা।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, রমজানে ইসরাইলি খেজুর বয়কট করল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটির বেশির ভাগ মানুষই ইসরাইলের খেজুর কেনা থেকে বিরত থাকছেন। এমনকি ইসরাইলি খেজুর আমদানিতেও সতর্কতা জারি করেছে দেশ দুটো। মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া এর আগেও বেশ কিছু ইসরাইলি পণ্য বর্জন করেছে। সর্বশেষ বয়কটের তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে এই পণ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক ব্যক্তিকে ইসরাইলি খেজুর বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। ইসরাইলি পণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী আরমিজান মোহাম্মদ আলী। বৃহস্পতিবার আরও বলেছেন, যারা ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করে ইসরাইলি পণ্য বিক্রি করে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে ইসরাইলি পণ্য আমদানি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব ওলেমা (এমইউআই) এবং বৃহত্তম মুসলিম গণসংগঠন নাদহাতুল ওলামা ইসরাইল থেকে আমদানি করা খেজুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নাদহাতুল ওলামার চেয়ারম্যান আহমেদ ফাহরুর রোজি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি দেখানোর জন্য ইসরাইলি পণ্য বর্জন করাই সঠিক পথ।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ফলে মালয়েশিয়ায় ইসরাইলি পণ্য বর্জনের বিষটি ব্যাপকভাবে কার্যকর হয়েছে। ফলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক কোম্পানির বেচা-বিক্রিতে ধস নেমেছে। ইতোমধ্যে স্টারবাক্সের (কফি শপ) মালয়েশিয়া শাখা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে নানা কাকুতি-মিনতি করে যাচ্ছে। ম্যাকডোনাল্ডস (ফার্স্ট ফুড রেস্টুরেন্ট) আবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ বয়কট পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইসরাইলি খেজুর। ইন্দোনেশিয়ায়ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ইসরাইলি খেজুর বর্জনে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। দেশ দুটির বভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যাট গ্রুপে বলা হচ্ছে- ইসরাইলি খেজুর মুসলিম দেশগুলোতে বেনামে বিক্রি হচ্ছে।