মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ: প্রধানমন্ত্রী
ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ: প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিল। সরকার সবসময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখতে উৎসাহিত করেছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে।
ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। সেসময় প্রায় ১ কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছে দেশটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি এবং তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় দেশসহ সাতটি খাতে নামিয়ে আনাসহ বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে তখন পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেহেতু নতুন মহাসচিব ও সভাপতিত্বে থাকবে দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।