শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইরান-মার্কিন বাহিনীর জটিল সমীকরণ
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইরান-মার্কিন বাহিনীর জটিল সমীকরণ
৩১৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইরান-মার্কিন বাহিনীর জটিল সমীকরণ

---বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য সংঘাত শুরুর পরই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী। যদিও এসব হামলার অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। কিন্তু জর্ডানে সবশেষ হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৪ জন আহত হয়েছেন।

কোরিয়ার যুদ্ধের পর এটিই মার্কিন বাহিনীর ওপর সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে প্রতিশোধমূলক হামলার। এমন পরিস্থিতিতে লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বাহিনী লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলার জন্য বাইডেন শুরু থেকেই ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলেকে দায়ী করছেন। ইরান তাদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠীগুলো ড্রোন ও রকেট দিয়ে হামলা পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আটবার প্রতিশোধমূলক হামলা করেছে। বেশি হামলা করা হয় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে।

অন্যদিকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির ওপর অন্তত নয়বার হামলা চালিয়েছেন বাইডেন। এতে বৈশ্বিক শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। কাজে আসছে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সও। হুথি বিদ্রোহীদের দাবি, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে সামনে রেখে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন জো বাইডেন। বিশেষ করে রিপাবলিকান পার্টি থেকে। একজন মার্কিন সিনেটর ইরানে এখনই হামলার দাবি তুলেছেন।

ক্রমেই হামলা-পাল্টা হামলা অনিবার্য হয়ে পড়ছে। তবে প্রশ্ন হলো এমন অবস্থা কত দিন চলবে। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সীমিত হামলায় যেমন অভ্যন্তরীণ সমালোচনা প্রশমিত হবে না তেমনি ইরানকেও থামিয়ে রাখা যাবে না।

ফলে ইরাক ও সিরিয়ায় আরও যথাযথ লক্ষ্যে হামলা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সরাসরি ইরানেও হামলার অনুমোদন দিতে পারেন বাইডেন। ১৯৮০ সালে জিম্মি উদ্ধারের পর এখন পর্যন্ত ইরানের মাটিতে স্পষ্ট কোনো সামরিক অভিযান চালায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ১৯৮৮ সালের পর সিরিয়া বা ইরাকের বাইরে ইরানের বাহিনীরও ওপরও কোনো হামলা চালায়নি দেশটি। তবে মার্কিন পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। তাছাড়া বেড়ে যাবে হতাহতের সংখ্যাও।

সব দিক বিবেচনায় এই মুহূর্তে উভয় সংকটে বাইডেন। কারণ মাঝারি ধরনের হামলা একদিকে যেমন যথেষ্ট নয় অন্যদিকে বড় হামলায় অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। যেমন ইরাকে বড় পরিসরে হামলা হলে ইরাকি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হতে পারে। এতে রাজনৈতিকভাবে জয় হবে ইরানের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহ দিয়েও সুবিধা নিতে পারে ইরান।

একই সঙ্গে বড় সংঘাতে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যদি পারস্য উপসাগর অস্থিতিশীল হয় ও সৌদির বিভিন্ন তেল স্থাপনায় ইরান হামলা করে। এরই মধ্যে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি বেড়ে ৮০ ডলার ছাড়িয়েছে। নির্বাচনের আগের এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর