বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ৪৮ ঘণ্টা পর হস্তান্তর
বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ৪৮ ঘণ্টা পর হস্তান্তর
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: যশোরের শিকারপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল জানান, বুধবার বেলা ১১টায় দিকে শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্তের মুক্তিযোদ্ধা খামারপাড়া ও ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তের ২৮ নম্বর মেইন পিলার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রাম। তার বাবার নাম কামরুজ্জামান।লাশ হস্তান্তরের সময় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল, সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের ১০৭ ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে ছিলেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্তসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এরপর লাশ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে মরদেহ নেওয়া হয় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে দুপুর ২টায় পর অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ যশোর বিমানবন্দরের দিকে নেওয়া হয়।যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবলু কিশোর দাস বলেন, “বিজিবি সদস্যের লাশের ময়নাতদন্ত ভারতে করা হয়েছে। যশোর মর্গে আনার পর রিভিশন করা হল ওই ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন সঠিক কী-না। গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।”
৪৮ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর করল বিএসএফ
এর আগে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল সোমবার গভীর রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি সদস্য নিহতের খবর দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপি’র জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল দল তাদের ‘চ্যালেঞ্জ’ করে। চোরাকারবারিরা তখন দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সেখানে আরও বলা হয়, এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পিছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন । প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, সে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্ত সৈনিক মৃত্যুবরণ করেছে।এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি প্রতিবাদলিপি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।