মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে বৃহস্পতিবার
নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে বৃহস্পতিবার
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে আগামী বৃহস্পতিবার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানা গেছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। তার ভিত্তিতে ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বঙ্গভবনে হবে এই শপথ অনুষ্ঠান।
নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, আকার কেমন হচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে এখনো নির্দেশনা পাননি।
মন্ত্রিসভার শপথের আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যরা কাল বুধবার শপথ নেবেন। কাল সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। একাদশ সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী ও স্পিকারের ব্যক্তিগত সচিব কামাল বিল্লাহ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১ আসনে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২ আসনে। আওয়ামী লীগের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি জয় পেয়েছে একটি আসনে।
এই নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে আজকের মধ্যেই গেজেট প্রকাশের জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্র।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফলের সরকারি গেজেট প্রকাশের পর নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ান স্পিকার। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে যদি স্পিকার সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করতে না পারেন বা না করেন, তাহলে এর পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে শপথ পাঠ পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আর কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তাঁর আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন। গত সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েও নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
সাধারণত বেশি আসন পাওয়া দলের সংসদ সদস্যরা প্রথমে এবং এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে থাকেন।