শিরোনাম:
●   রাশিয়ার‍ বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের জন্য’ নেটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ চান : জেলেন্সকি ●   শেখ হাসিনা ভারতে আছেন, থাকবেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   কোথায় যাব জানি না, তবে দেশে ফিরছি না: সাকিব ●   শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে সব ব্যবস্থা করবে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   বিশ্বব্যাপী তীব্র দারিদ্র্যে ১০০ কোটির বেশি মানুষ: জাতিসংঘ ●   বিশ্ব গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ●   বাংলাদেশে ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন ●   বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এ সরকার : নাহিদ ইসলাম ●   মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন ●   ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ বাতিল হচ্ছে আট জাতীয় দিবস
ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

BBC24 News
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন » বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গণহত্যা প্রতিরোধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন » বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গণহত্যা প্রতিরোধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২১৯ বার পঠিত
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গণহত্যা প্রতিরোধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: গণহত্যা ও এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণহত্যা ও অনুরূপ অপরাধ প্রতিরোধে বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি সারা বিশ্বে শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতি প্রচারসহ এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আমাদের সম্মিলিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।

গণহত্যার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ ও মর্যাদা এবং এই অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবসের প্রাক্কালে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস। ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে৷

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণহত্যার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ ও মর্যাদা এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস এবং গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের ইতিহাস জুড়ে গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে এবং সকল গণহত্যা প্রতিরোধে ও অপরাধীদের ভোগ করা দায়মুক্তির অবসানে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আমাদের নিজস্ব বেদনাদায়ক ইতিহাস থেকে উদ্ভূত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আমাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে দমন করতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অভিযান চালায়। আমাদের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সময়ে দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে ত্রিশ লাখ নিরীহ মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়। দুই লাখেরও বেশি নারী যৌন সহিংসতা ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং এক কোটি মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তের ওপারে পাড়ি দিতে হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে বেদনা ও ট্রমা সহ্য করেছি তা আমাদের যেকোনো স্থানে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং এই জঘন্য অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করতে অনুপ্রাণিত করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালের গণহত্যার কিছু মূল অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনে আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ এবং এই ক্ষত প্রতিরোধে আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আমরা বাংলাদেশে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করি। আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দান এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।

‘গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী পালন করছি এমন সময় যখন আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাত্রা ও তীব্রতা, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা আমাদের একই ধরনের বেদনাদায়ক ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দেয় যার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া উচিত নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা কীভাবে নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়ন ও নৃশংসতার শিকার হয়েছে তা দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়েছি। নির্যাতনের শিকার দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে শান্তি ও মর্যাদার সাথে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসবাস করতে পারে এমন একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জেনোফোবিয়া, বর্ণবাদ এবং ঘৃণা ছড়ানোর কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। এগুলো দুর্বল মানুষকে গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী সব রাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের এই ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, গণহত্যার ঘটনা রোধ করতে এবং সেই ঝুঁকিগুলো দৃশ্যমান হয়ে গেলে দ্ব্যর্থহীনভাবে তাদের নিন্দা করার আহ্বান জানান।



আর্কাইভ

রাশিয়ার‍ বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের জন্য’ নেটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ চান : জেলেন্সকি
শেখ হাসিনা ভারতে আছেন, থাকবেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে সব ব্যবস্থা করবে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশ্বব্যাপী তীব্র দারিদ্র্যে ১০০ কোটির বেশি মানুষ: জাতিসংঘ
বিশ্ব গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাংলাদেশে ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন
বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এ সরকার : নাহিদ ইসলাম
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ বাতিল হচ্ছে আট জাতীয় দিবস
ভারত থেকে ৫৯৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি