বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » অবশেষে রওশন পেল না জাপার কোন আসন
অবশেষে রওশন পেল না জাপার কোন আসন
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের জন্য খালি রাখা ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু মুসা সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। বুধবার দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন মনোনয়ন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে ২৮৭টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। সেময় তিনি বলেছিলেন, ময়মনসিংহ-৪ আসনটি রওশন এরশাদের জন্য খালি রাখা হয়েছে। তার সম্মানার্থে এই আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে দুদিন না যেতেই রওশনের আসনে আবু মুসাকে মনোনয়ন দিলো জাপা। রওশনকে জাতীয় পার্টি থেকে কোনো আসন দিতে হলে এক দিন সময় আছে হাতে। ৩০ নভেম্বর ইসিতে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা জমা দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।
জাপার একটি সূত্র জানিয়েছে, রওশনের জন্য বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছে। কেউ তার মনোনয়ন নিতে আসেননি। বৃহস্পতিবার যেহেতু মনোনয়ন জমার শেষ দিন, তাই আসন খালি যাতে না যায় সেই জন্য আবু মুসাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে রওশন মনোনয়ন নিলে আবু মুসাকে উইথড্র করতে বলা হবে।
জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদপত্নী রওশাদের দ্বন্দ্ব আছে। এর জেরে জাপা থেকে কোনো মনোনয়ন ফরম তিনি কেনেননি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রওশন এরশাদ নিজের পাশাপাশি তার পুত্র সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলামের জন্যও মনোনয়ন ফরম চেয়েছিলেন।
পরে নাম ঘোষণার পর দেখা যায়, রওশনের জন্য একটি আসনে নাম ঘোষণা করা না হলেও তার পুত্র বর্তমান সংসদ সদস্য রাহগির আলমাহি এরশাদ ওরফে সাদ এরশাদের আসনে (রংপুর-৩) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে। ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থীও তিনি।
এদিকে জাপার মনোনয়ন পাননি বেশ কজন হেভিওয়েট প্রার্থী, যারা রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত। এদের মধ্যে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার জায়গায় এইচএম শাহরিয়ার আসিফকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর জায়গায় দেওয়া হয়েছে মাশরেকুল আজম রবিকে।
৩০০ আসনের মধ্যে খালি রাখা বাকি আসনের গোপালগঞ্জ-২ ও ৩ আসন রয়েছে। জাপা বলছে, এখানে দুজন সম্মানী ব্যাক্তি থাকায় তারা প্রার্থী দিচ্ছে না। এই দুই আসনের মধ্যে গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
জাতীয় পার্টি এককভাবে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে জানিয়ে সেদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চুন্নু বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ যদি ভালো থাকে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আমরা ক্ষমতায় আসব। দলের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।